পটুয়াখালীর বাউফলে দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মারুফ (১৫) ও নাফিস (১৫) হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বশির আহম্মদের ছেল নাঈম (১৪) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ আত্মসমর্পণ করে। বাউফল থানার ওসি আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ভোরে প্রধান আসামি রায়হানকে (১৪) নরসিংদীর রায়পুরা এবং হৃদয়কে (১৪) ঢাকার পল্লবী থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বাকি ৩ আসামি সিফাত (১৪), সৈকত (১৪) ও নাঈমকে (১৪) বাউফলের ইন্দ্রকুল ও ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, গত বুধবার (২২ মার্চ) উপজেলার ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়হানের সঙ্গে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফের গায়ে পা লাগার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে বিকালে বিদ্যালয়ের অদূরে প্রধান আসামি রায়হানসহ ৮-১০ জন শিক্ষার্থী মারুফ, নাফিস ও সিয়ামকে ছুরিকাঘাত করে।
পরে মারুফ ও নাফিসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আরেক আহত সিফাতকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নিহত নাফিসের মা নার্গিস বেগম ২৪ মার্চ বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, অভিযুক্ত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।