ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। অলভিয়া বন্দরের ইনার অ্যাংকরেজে থাকা অবস্থায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। পরে ২ মার্চ বিকাল ৫টার দিকে একটি ক্ষেপনাস্ত্র বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে আঘাত হানে। এতে জাহাজে প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান মারা যান। একই সঙ্গে জাহাজের ব্রিজরুমসহ সব নেভিগেশন টুলস্ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার বাংলাদেশি দূতাবাসের সহায়তায় এবং বিএসসি- এর চেষ্টায় গত বছর ৯ মার্চ জাহাজে থাকা নাবিকদের এবং ১৪ মার্চ প্রকৌশলীর লাশ দেশে আনা হয়। গত ১৬ জুন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত নাবিক ও তাদের পরিবারের মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার বিমা দাবির ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করেন।
বিমা চুক্তির ব্লকিং অ্যান্ড ট্রেপ্রি ক্লজ অনুযায়ী ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সিটিএল সাইকেল শেষ হওয়ার পর বিমাকারী ও পুনঃবিমাকারী দাবির অংক মার্কিন ডলার ২২.৪৮ মিলিয়ন দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়।
দাবিকৃত ২২.৪৮ মিলিয়ন হতে বিমা প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে বিমাকারী সাধারণ বিমা কর্পোরেশন কর্তৃক বিএসসিকে ১৪.৩৭ মিলিয়ন পরিশোধ করা হয়েছে যা গত ২১ মার্চ বিএসসি’র স্থানীয় ব্যাংকে গৃহীত হয়। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন হতে ১৪.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাপ্তির মাধ্যমে বিএসসি যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের বর্তমান বাজার মূল্যের সমপরিমান অর্থ আদায় করতে সক্ষম হয়।