সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চেন্নাইকে হারিয়ে শুভসূচনা করলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:২৮

পর্দা উঠে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৬তম আসরের। জামজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এবারের আসরের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি হয়েছিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। উদ্বোধনী ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জমকালো আয়োজনে পর্দা ওঠে আইপিএলের। তিন আসর পর আবারও আইপিএল ফিরেছে নিজের সেই চেনা রূপে। হোম আর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। প্রথম ম্যাচেই গুজরাট নিজেদের ঘরের মাঠ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আতিথেয়তা দিয়েছিলো চেন্নাই সুপার কিংসকে। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে ঋতুরাজের ৫০ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ১৭৮ রানের পুঁজি পায় চেন্নাই। জবাবে শুভমন গিলের ৩৬ বলে ৬৩ আর শেষদিকে রশিদ খানের ৩ বলে ১০ রানের ছোট ক্যামিওতে ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয়ের দেখা পায় গুজরাট। 

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাই সুপার কিংসের। তৃতীয় ওভারেই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ শামি। এই উইকেটেই নিজের আইপিএল ক্যারিয়ারে উইকেটের সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন ভারতীয় এই পেসার।

তিন নম্বরে নামা মঈন আলীক শুরুটা ভালো করেল টিকতে পারেননি বেশিক্ষন। ১৭ বলে ২৩ রান করেই ফেরেন রশিদ খানের বলে। বেন স্টোকস এদিন একেবারেই ব্যর্থ, ৬ বলে ৭ রান করেই ফিরেছেন ভয়ংকর এই ব্যাটার। অভিজ্ঞ আম্বাতি রায়ডুও এদিন তেমন কিছুই করতে পারেননি। ১২ বলে ১২ রান করেন ফেরেন তিনি। 

অন্যদের যাওয়া আসার ভিড়ে একপ্রান্ত আগলে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঋতুরাজ। তবে সেঞ্চুরিরে দিকে ছুটতে থাকা ঋতুরাজকে থামান আলজারি জোসেফ। দলীয় ১৫১ রানে ফেরেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। ফেরার আগে ৫০ বলে ৯২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ঋতুরাজ। 

শেষের দিকে নেমে ১ চার আর ১ ছয়ে ৭ বলে করা ধোনির ১৪ রানে ভর কর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় চেন্নাই। 

১৭৯ রানের লক্ষ্যে শুরুটা দুর্দান্ত হয় গুজরাটের। উদ্বোধনী মাত্র ৩.৪ ওভারেই ৩৭ রান তুলে ফেলেন দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা আর শুভমন গিল। এরপর ১৬ বলে ২৫ রান করা ঋদ্ধিমান আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে সাই সুদর্শনকে নিয়েও জুটি বাঁধেন শুভমন। দলীয় ৯০ রানে ভাঙে এই জুটি, সুদর্শন ফেরেন ১৭ বলে ২২ রান করেই। 

এদিন তেমন কিছু করতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়াও। ১১ বলে ৮ রান করেই ফেরেন গুজরাটের অধিনায়ক। ১১১ রানেই ত্রিতীয় উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ক্রিজের আরেক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেনে শুভমন। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৬৩ করে আউট হন এই ব্যাটার। ১৩৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় গুজরাট।

এরপর পঞ্চম উইকেটে বিজয় শঙ্কর আর রাহুল তেওয়াতিয়া মিলে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যেতে ছিলো, তবে ২১ বলে ২৭ করে আউট হয়ে যান বিজয় শঙ্কর। কিছুটা কঠিনই মনে হতে লাগে গুজরাটের জয়কে। তবে ৭ নম্বরে নেমে রশিদ খান ৩ বলে ১০ রান করে নিশ্চিত করেন গুজরাটের জয়। রাহুল অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ১৫ রানে নিয়ে। ৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

ইত্তেফাক/এসএস