সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ইউক্রেনকে ১৫৬০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ

আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৪৫

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ইউক্রেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ১ হাজার ৫৬০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। আইএমএফের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় এএফপি।

আইএমএফের মতে, রাশিয়ার আগ্রাসন ইউক্রেনের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে, গত বছর দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় ৩০ শতাংশ সংকুচিত হয়, এর বেশিরভাগ মূলধন ধ্বংস হয়ে যায় এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধি পায়। 

রাশিয়ার আগ্রাসন ইউক্রেনের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

ইউক্রেনের জন্য আইএমএফ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ৪৮ মাসের বর্ধিত তহবিল সুবিধার আর্থিক মূল্য প্রায় ১ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। এটি দেশের জন্য ১১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সামগ্রিক সহায়তা প্যাকেজের অংশ। 

ইউক্রেন বিভিন্ন ঋণ মকুব, ত্রাণ, অনুদান ও বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক সংস্থার ঋণ থেকে এই অর্থের একটি বিশাল পরিমাণ পাবে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

ইউক্রেনের জন্য আইএমএফ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ৪৮ মাসের বর্ধিত তহবিল সুবিধার আর্থিক মূল্য প্রায় ১ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার।

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতা গোপীনাথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নতুন চার বছরের কর্মসূচির লক্ষ্য ইউক্রেনে অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা এবং যুদ্ধ অব্যাহত থাকার সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সংস্কার করা।

আইএমএফ অনুমোদিত এই আর্থিক সহায়তার ২৭০ কোটি ডলার খুব দ্রুত পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন। বাকি টাকা আগামী চার বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে। আইএমএফ জানিয়েছে, তারা টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং সংঘাত-পরবর্তী পুনর্গঠন, পাশাপাশি আরও উচ্চাভিলাষী কাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের পথকে সহজতর করার জন্য অন্যান্য লক্ষ্য অর্জনে সক্রিয় শত্রুতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতা গোপীনাথ

ইউক্রেন ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে যুদ্ধ বন্ধ না হলে আইএমএফের কিছু সদস্যের কাছ থেকে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তার গ্যারান্টিও পেয়েছে। আইএমএফ জানিয়েছে, বর্তমান সংঘাত যদি ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে ইউক্রেনের আর্থিক চাহিদা ১১ হাজার ৫০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৪ হাজার বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে।

ইত্তেফাক/ডিএস