শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

জাতীয় যুব সংহতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিল

সময়-সুযোগ পেলে ওরা আঘাত করবে: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২২

জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, রোজার পরের সময়গুলো অত্যন্ত পরীক্ষামূলক হবে। ভেতরে থেকে যারা নানাভাবে সরকারের বদনাম করছে-তারা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। প্রায় সব দলেই এমন সব লোক বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্বে রয়েছে যারা এই বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, যারা দেশের ও মানুষের কল্যাণে বিশ্বাস করে না। সময় ও সুযোগ পেলে ওরা আঘাত করবে- এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

জাতীয় পার্টি-জেপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুবসংহতির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁ’য় আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেপি চেয়ারম্যান একথা বলেন। উল্লেখ্য, জাতীয় যুবসংহতির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল গত ২ এপ্রিল।   

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম, আমাদের (দলের) যখন সৃষ্টি হয়, দীর্ঘ এই ৪০ বছর টিকে থাকবো! ঈমান ও আমল ঠিক থাকলে, উদ্দেশ্য সৎ হলে এবং নীতি-আদর্শ যদি দেশের ও মানুষের কল্যাণে হয়- তাহলে এমন সংগঠন টিকে থাকবে। ইতিহাস ঘাটলেও সেটিরই প্রতিফলন পাওয়া যায়।’

ইফতারপূর্ব এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশের যুবসমাজকে সঠিক পথ দেখাতেই ১৯৮২ সালে জাতীয় যুব সংহতি প্রতিষ্ঠা হয়। যুবকদের শক্তি প্রকৃতপক্ষে আগুনের মতো। যৌবনের তেজোদীপ্ত শক্তিতে যুবকরা একদিকে যেমন অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, আবার তারা খারাপের দিকে গেলে দেশ-জাতির সর্বনাশও ডেকে আনতে পারে। মূল্যবোধের অভাবে যুবসমাজেও অপশক্তি জন্ম নেয়। যা দেশ ও জাতির ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহিম বলেন, জেপির কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই। এটাই আমাদের দলের বড় প্রাপ্তি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাদেক সিদ্দিকী বলেন, যুব সংহতি জেপির প্রধান অঙ্গ সংগঠন। জেপির আগেই যুবসংহতির জন্ম। তাই এই সংগঠনকে নিজস্ব আদর্শ ও ধ্যান-ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যুবসমাজকে সংগঠিত করে সঠিক পথে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে যুবসংহতিকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। প্রেসিডিয়াম সদস্য মফিজুল হক বেবু বলেন, যুবসংহতির প্রত্যেক সদস্যকে শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। দলের প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য আজিজ বাঙ্গাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালনার ক্ষেত্রে যুব সংহতির দায়িত্ব রয়েছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্বকারী জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেপির যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল বলেন, জাতীয় যুব সংহতি সারাদেশে সুসংগঠিত। যুব সংহতির যারা সদস্য রয়েছেন তারা প্রত্যেকেই নীতি-আদর্শ মেনে রাজনীতি করছেন। কেউ মাদকাসক্ত, চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসী নন। তিনি বলেন, আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যুব সংহতির প্রত্যেক সদস্যকে এগিয়ে আসতে হবে। সংগঠন করার পাশাপাশি সর্বাগ্রে মনোযোগ দিতে হবে লেখাপড়ায়। একইসঙ্গে বিশ্ব প্রতিযোগতায় তাল মেলাতে তথ্য-প্রযুক্তিতেও সমৃদ্ধ হতে হবে। তাহলেই যুবসংহতির আজকের নেতারাই আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁ’র মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্যাহ মনিও বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা- এই বিষয়গুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইতিহাসে বিষয়গুলো অবিচ্ছেদ্য।

ইত্তেফাক/এমএএম