পর্তুগাল জাতীয় দল ও ক্লাব আল নাসর মিলিয়ে আগের তিন ম্যাচেই ৬ গোল করেছেন। প্রতি ম্যাচেই গোল করেছেন জোড়ায় জোড়ায়। সেই দুইয়ের নামতা মুখস্ত করেই হয়তো পরশু মাঠে নেমেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আল নাসরের সমর্থকদেরও প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু রোনালদোর আশা বা সমর্থকদের প্রত্যাশা-সবই মাটি হয়ে গেছে।
পরশু নিজেদের ঘরের মাঠে আল ফেইহার রক্ষণভাগ রোনালদোকে কোনো গোলই করতে দেয়নি। গোল পাননি রোনালদোর অন্য সতীর্থরাও। ফল, আল ফেইহার মাঠ থেকে আল নাসরকে ফিরতে হয়েছে গোলশূন্য ড্র হতাশা নিয়ে।] পয়েন্ট তালিকার ১০ নম্বর দলের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে হতাশ আল নাসর। তবে ক্লাবের বাকিদের চেয়ে রোনালদোই যেন হতাশ ছিলেন বেশি।
পর্তুগিজ তারকা নিজের সেই হতাশা গোপনও রাখতে পারেননি। নিজে গোল না পাওয়ায় এবং দল জিততে না পারার হতাশায় রোনালদো মাঠেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তিনি এতটাই হতাশ ছিলেন যে, ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্যতার জন্যেও হাতও মেলাননি। আল ফেইহার খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন না করেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে করতে মাঠ ছেড়ে যান রোনালদো।
ম্যাচে একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি, রোনালদোর হতাশাটা এ কারণেই হয়তো বেশি। আল নাসরের ফরাসি কোচ রুডি গার্সিয়াও হতাশ। তবে ম্যাচের ফলের চেয়েও তিনি বেশি হতাশ খেলোয়াড়দের বাজে পারফরম্যান্সে, ‘এই ফল নিশ্চিতভাবেই বাজে। আমরা মোটেই খুশি নই। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও আমি সন্তুষ্ট নই। আমি চেয়েছিলাম খেলোয়াড়রা আগের ম্যাচের মতোই খেলবে (আল আদালাহর বিপক্ষে ৫-০ গোলে জিতেছিল আল নাসর)। কিন্তু সেটা হলো না।’
আল নাসরের হতাশার কারণ আছে আরও একটি। তাদের ড্র হতাশার দিনটিতেই আল ওয়েদাহর বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা আল ইত্তিহাদ। ফলে আল ইত্তিহাদ এখন আল নাসরের চেয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্টে এগিয়ে।