বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মহড়া

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:২৫

তাইওয়ানের চারপাশে চীন বড় ধরনের মহড়া শেষ করার একদিন পর যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন তাদের বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ফিলিপাইনের ইসাবেলা, কাগায়ান ও পালাওয়ান প্রদেশে এই মহড়া চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তিনটি প্রদেশ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ইসাবেলা ও কাগায়ানের উত্তর পাশে তাইওয়ানের অবস্থান। এবং পালাওয়ান দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের নিকটে অবস্থিত। এসব দ্বীপে রানওয়ে ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে চীন।

ফিলিপাইনের ইসাবেলা, কাগায়ান ও পালাওয়ান প্রদেশে এই মহড়া চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে সেনা মোতায়েন করেছে। স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত, তবে বেইজিং এই অঞ্চলটি দাবি করে। জানা গেছে, এবারের মহড়ায় ১২ হাজার মার্কিন সেনা ও ৫ হাজার ৪০০ ফিলিপাইন সেনাসহ ১৭ হাজারের বেশি সেনা অংশ নেবেন।

এছাড়া, এবার অস্ট্রেলিয়ান নৌবাহিনীর অন্তত শতাধিক সদস্য এই মহড়ায় অংশ নেবেন, যা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এবং পর্যবেক্ষক হিসেবে আরও ১২টি দেশের সামরিক সদস্যরা অংশ নেবেন। এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় তিন দিনের বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করে চীন।

যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে সেনা মোতায়েন করেছে।

আগামী ৮ থেকে ১০ এপ্রিল তাইওয়ানের চারপাশে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক মহড়ার কথা আগেই নির্ধারিত ছিল। এ বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ও ম্যানিলা কয়েক দশকের পুরনো জোটকে এগিয়ে নিতে একটি নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
 
সেই সময় উভয় দেশ বৃহত্তম বার্ষিক বালিকাতান মহড়া আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এছাড়া চুক্তির আওতায় ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও চারটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশাধিকার দিয়েছে। এতে ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্সেসের সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

এ বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ও ম্যানিলা কয়েক দশকের পুরনো জোটকে এগিয়ে নিতে একটি নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে।

যুক্তরাষ্ট্র যে চারটি নতুন ঘাঁটিতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে তা হলো কাগায়ান প্রদেশের সান্তা আনায় অবস্থিত ক্যামিলো ওসিয়াস নৌঘাঁটি এবং লাল-লো বিমানবন্দর। গামু, ইসাবেলা প্রদেশ এবং পালাওয়ান প্রদেশের কাছে বালাবাক দ্বীপে ক্যাম্প মেলচোর ডেলা ক্রুজও রয়েছে।

বর্ধিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির (ইডিসিএ) সম্প্রসারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফিলিপাইনের কৌশলগত গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। দক্ষিণ চীন সাগর ও স্বশাসিত তাইওয়ান নিয়ে চীনের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে।

কাগায়ান প্রদেশের সান্তা আনায় অবস্থিত ক্যামিলো ওসিয়াস নৌঘাঁটি।

২০১৪ সালের এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইডিসিএ স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, যৌথ প্রশিক্ষণ, সরঞ্জামের অগ্রিম মোতায়েন ও রানওয়ে, জ্বালানি স্টোরেজ সাইট এবং সামরিক আবাসনের মতো সুবিধা নির্মাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিপাইনের ঘাঁটিগুলোতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে চুক্তিতে বলা হয়েছে, এটি ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী উপস্থিতি নয়।

ইত্তেফাক/ডিএস