মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

প্ল্যাকার্ডে ‘প্রতিবাদী স্লোগান’, মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাম নেতা-কর্মীদের যেতে বাধা

আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৩৩

মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর আয়োজক সংশ্লিষ্টদের বাধার অভিযোগ উঠেছে। সেইসঙ্গে ‘প্রতিবাদী স্লোগান’ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ করে বাম ছাত্র নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) মঙ্গল শোভাযাত্রা চলাকালীন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতৃত্বে ‘ডিএসএ বাতিল করো’, ‘নববর্ষে পরাধীনতার শিকল ভাঙো’, ‘মুখ বন্ধ করে দেওয়া কি স্বাধীনতা?’, ‘চাল জোটে না ইলিশ রুই কই পাবো?’ প্রভৃতি স্লোগান লিখিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এ সময় আয়োজক সংশ্লিষ্ট সরকারদলীয়রা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

ছবি: ইত্তেফাক

এছাড়াও বেলা ১১টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনে প্রক্টরিয়াল টিমের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

নেতা-কর্মীরা এক বিবৃতিতে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালির জাতীয় জীবনে প্রতিবাদের সংস্কৃতি হিসাবে এসেছিল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে এ দেশের ছাত্র-জনতা বর্ষবরণকে স্বৈরাচার মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু আওয়ামী আমলে নববর্ষ, শোভাযাত্রাকে তার মূল চেতনা থেকে সরিয়ে স্রেফ আয়োজন সর্বস্ব করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।

ছবি: ইত্তেফাক

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারদলীয় নেতা-কর্মী ও শোভাযাত্রার আয়োজকদের মধ্যে আওয়ামী সমর্থকরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধীতা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা, বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের দাবি পর্যন্ত সহ্য করতে পারছে না। এটা স্পষ্টতই মঙ্গল শোভাযাত্রার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল মঙ্গল শোভাযাত্রায় ব্যানার ধরবে বা আন্দোলন করবে এটা হতে পারে না। উস্কানিমূলক প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে চারুকলায় ঢোকার সময় চারুকলার শিক্ষার্থীরা তাদেরকে বাধা দেয়।

রাজু ভাস্কর্যে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে প্রক্টরকে ফোন দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ইত্তেফাক/এসকে