কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের পর এক প্রকার নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিলো চ্যাম্পিয়ন লিগের এই মৌসুমে শেষ হচ্ছে বায়ার্নের পথচলা। নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে শেষ আট থেকেই ছিটকে গেলো ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন লিগ জয়ী বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের জয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেলো ম্যানচেস্টার সিটি।
এতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারের পর আজ দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে অকল্পনীয় কিছু করতে হতো বাভারিয়ানদের। অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনাতে মাঠের খেলায় দাপট ঠিকই দেখিয়েছিলো বায়ার্ন, তবে তা যেন যথেষ্ট ছিলো না শেষ চারে ওঠার জন্য। প্রথমার্ধে একটি পেনাল্টি মিস করা আর্লিং হালান্ড দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে নেন সিটিজেনদের। শেষ দিকে এসে জসুয়া কিমিচের গোলে নিজেদের মাঠে কোনমতে হার এড়ায় বায়ার্ন।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই ম্যানসিটির ওপর চাপ দিয়ে খেলতে থাকে বায়ার্ন। টান আক্রমণও করেছে বাভারিয়ানরা। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে সিটি গোলরক্ষক পরাস্ত করতে পারেননি লিরয় সানে।
দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণ করে সিটি। বায়ার্নের ডি বক্সের সামনে হালান্ডকে ফাউল করে বসেন উপামেকানো। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে লাল কার্ড দেখালেও পরে ভিএআর চেক করে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন হালান্ড।
ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ম্যানসিটি। উপামেকানো ডি বক্সে গুনডোগানকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে স্পটকিক থেকে বায়ার্নের জালে বল জড়াতে পারেনি হালান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে কেভিন ডে ব্রুইনার পাস ধরে উপামেকানোকে ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে যান হালান্ড। জোরাল শটে গোলরক্ষক ইয়ান সোমারকে পরাস্ত করে ম্যানসিটিকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন হালান্ড।
ঘরের মাঠেই যখন হারের মুখে বায়ার্ন, তখন ম্যাচের শেষদিকে এসে ৮৪ মিনিটে গোল করে দলের হার এড়ান কিমিচ। সিটির ডি-বক্সে ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল অ্যাকাঞ্জির হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে বায়ার্নকে সমতায় ফেরানো গোল করেন কিমিচ।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকে বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ওঠে ম্যানচেস্টার সিটি। শেষ চারে সিটিজেনদের প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।