বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মেসির দেশের মেয়ের সঙ্গে যেভাবে প্রেমে জড়ান রোনালদো

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:০৬

লিওনেল মেসিতে বুঁদ এখন আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপ জেতার পর লাতিন দেশটিতে তার ভালোবাসা বেড়েছে কয়েক গুণ। এই মেসির সঙ্গে যার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে আর্জেন্টাইনরা কীভাবে দেখেন? আর্জেন্টিনায় তার ভক্ত আছেন?

নিশ্চয়ই আছেন। হালের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলেহান্দ্রো গারনাচোর কথাই ধরা যাক। মেসির দেশের খেলোয়াড় হয়েও তিনি রোনালদো বলতে অজ্ঞান। তার চেয়েও বড় রোনালদো ভক্ত আছেন আর্জেন্টিনায়। তিনি হোর্হিনা রোদ্রিগেস। রোনালদোর প্রেমিকা।

হ্যাঁ, এই মডেলের জন্ম আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে। ২৯ বছর বয়সী হোর্হিনার জন্মই শুধু আর্জেন্টিনায়, বেড়ে ওঠা কিংবা বাবা-মায়ের সূত্রে তিনি স্প্যানিশ। এক বছর বয়সে আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে পাড়ি জমান হোর্হিনা। তারপরও জন্মসূত্রে তো তিনি আর্জেন্টাইন। মেসির দেশের। তো মেসির দেশের এই মডেল-কন্যার সঙ্গে রোনালদোর প্রেমটা হলো কীভাবে?

একেবারে শুরু থেকে শুরু করা যাক। ‍ফুটবলের সঙ্গে নারীসঙ্গ রোনালদোকে কতটা টানে, সেটা এই পর্তুগিজ তারকা সম্পর্কে সামান্য খোঁজখবর রাখলে আপনার জানার কথা। প্রেমপাখি তার কত ডালে যে উড়ে বেড়িয়েছে, পরিষ্কার হিসাব দেওয়া কঠিন। কত মডেল-কন্যার সঙ্গে যে নাম জড়িয়েছে রোনালদোর, সেটাও সঠিক বলা কঠিন। ফুটবলের এই প্লেবয় ২০১০ সালে খুঁজে নেন স্থায়ী সঙ্গী। রাশিয়ান মডেল ইরিনা শায়েকের সঙ্গে মন দেয়ানেয়া তার।

রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর ক্যারিয়ারের গ্রাফ যেমন হু হু করে বাড়ছিল, তেমনি গাঢ় হচ্ছিল ইরিনার সঙ্গে সম্পর্ক। বিয়ের সিদ্ধান্তও নিলেন তারা। কিন্তু প্রায় ৫ বছরের ভালোবাসার বাঁধন হঠাৎই এক ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে যায়! ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ছাপা হয়, আলাদা হয়ে গেছেন রোনালদো-ইরিনা।

প্রেমিক রোনালদো ‘ব্রেকআপ’-এ ভেঙে পড়লেন, ব্যাপারটা তেমন নয়। বরং নতুন ‘মধু’র খোঁজে উড়তে থাকলেন এক ফুল থেকে আরেক ফুলে। অনেকের সঙ্গেই জড়ায় তার নাম। শেষমেষ এমন একজনের সঙ্গে মন বিনিময় করলেন, যাকে তেমন কেউই চিনতেন না। সেদিনের সেই অখ্যাত মেয়েটিই হোর্হিনা রোদ্রিগেস। রোনালদোর তিন সন্তানের মা।

আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া হোর্হিনার সঙ্গে রোনালদোর প্রেমের শুরুটা কীভাবে? দুজন মিলেছিলেন মাদ্রিদের গুচি শো-রুমে। যা ভাবছেন, ব্যাপারটি মোটেও তেমন নয়। রোনালদো কিছু কেনার জন্য গিয়েছিলেন ঠিক, তবে হোর্হিনার জায়গাটা ছিল আলাদা। তিনি ছিলেন ওই গুচি শো-রুমের সেলস অ্যাসিস্টেন্ট!

গল্পটা হোর্হিনার মুখেই শোনা যাক, ‘ক্রিস্তিয়ানোর (রোনালদো) উচ্চতা, শরীর, সৌন্দর্য আমাকে আকৃষ্ট করেছিল। আমি তার সামনে কাঁপছিলাম, তবে ভেতরে আবেগের স্রোত বয়ে যাচ্ছিল। ভীষণ লজ্জা লাগছিল আমার। তবে তার ব্যক্তিত্ব আমাকে মুগ্ধ করে। ক্রিস্তিয়ানো আমার সঙ্গে যেভাবে মিশেছে, আমার যত্ন নিয়েছে, আমাকে ভালোবেসেছে... এভাবেই চলছে।’

সম্পর্কের শুরুটা গোপন রাখার চেষ্টা করেছিলেন রোনালদো-হোর্হিনা। তবে পাপারাজ্জিদের হাত থেকে রেহাই মিলেনি। ২০১৬ সালের শেষ দিকে তাদের একসঙ্গে থাকার ছবি প্রকাশ পায়। এখনও তারা একসঙ্গে। বিয়ের বাঁধনে যদিও বাঁধা পড়েননি। তবে ভালোবাসার ফসল তিন সন্তানকে নিয়ে একছাদের নিচেই তাদের বসবাস।

আদর-ভালোবাসায় খুনসুটিও নিশ্চয় হয় তাদের। সেখানে কি মেসিকে নিয়ে তাদের কথা হয়? মেসির দেশের মেয়ে হোর্হিনার প্রতিক্রিয়া কী থাকে? যতই হোক জন্ম তো তার আর্জেন্টিনাতেই!

ইত্তেফাক/কেআর/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন