ভারতের অস্কার বলা হয় ফিল্মফেয়ারকে। যদিও ফিল্মফেয়ারকে অস্কার বললে ভারতীয় সুপারস্টাররা ইদানিং আপত্তি করেন। তবে যাই হোক না কেন ভারতীয় সকল তারকাই নিজের শোকেসে একটি ফিল্মফেয়ার ট্রফি রাখার স্বপ্ন দেখেন।
সেই হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয় পুরস্কার ‘ফিল্মফেয়ার’। দীর্ঘ ৬৮ বছর ধরে নিয়মিত এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। তবে এবারের ফিল্মফেয়ার যেন পুরোটাই আলিয়ার গাঙ্গুবাঈ’র দখলে। ছবিটি সেভাবে ব্যবসা না করলেও সমালোচকদের দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেই হিসেবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আলিয়ার রাজত্বই বহাল রাখা হলো এমনটাই বলা হচ্ছে।
আলিয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা ভীষণ আনন্দের। একইসঙ্গে আমার সন্তান আর এই ট্রফি দুটোই যেন জীবনের পুরস্কার মনে হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের ‘জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশস সেন্টারে’ জমকালো আয়োজনে ৬৮তম ফিল্মফেয়ার বিজয়ীদের হাতে চিরচেনা কালো ট্রফিটি তুলে দেওয়া হয়।
এবারের আয়োজনে বাজিমাত করেছে ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’। সঞ্জয়লীলা বানসালি নির্মিত ছবিটি সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালকসহ সর্বাধিক ১০টি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে। ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন আলিয়া ভাট।
ফিল্মফেয়ারের এ আসরে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে প্রবীণ অভিনেতা প্রেম চোপড়াকে। তারকাখচিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন সুপারস্টার সালমান খান।
৬৮তম ফিল্মফেয়ার বিজয়ীরা হলেন— সেরা চলচ্চিত্র: গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি, সেরা চলচ্চিত্র (সমালোচক পুরস্কার): বাধাই দো, সেরা অভিনেতা: রাজকুমার রাও (বাধাই দো), সেরা অভিনেতা (সমালোচক পুরস্কার): সঞ্জয় মিশ্র (ভাধ), সেরা অভিনেত্রী: আলিয়া ভাট (গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি), সেরা অভিনেত্রী(সমালোচক পুরস্কার): ভূমি পেডনেকর (বাধাই দো) ও টাবু (ভুল ভুলাইয়া ২), সেরা পরিচালক: সঞ্জয় লীলা বানসালি (গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি), সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: অনিল কাপুর (যুগ যুগ জিও), সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: শিবা চাড্ডা (বাধাই দো), সেরা মিউজিক অ্যালবাম: প্রীতম (ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান শিবা), সেরা গীতিকার: অমিতাভ ভট্টাচার্য (কেসারিয়া, ব্রহ্মাস্ত্র :পার্ট ওয়ান শিবা), সেরা গায়ক: অরিজিত সিং (কেসারিয়া, ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান শিবা), সেরা গায়িকা: কবিতা শেঠ (যুগ যুগ জিও), সেরা নবাগত পরিচালক: জসপাল সিং সান্ধু এবং রাজীব বার্নওয়াল(ভাধ), সেরা নবাগত (পুরুষ): অংকুশ গেদাম (ঝুন্ড), সেরা নবাগত(নারী): আন্দ্রেয়া কেভিচুসা (আনিক), সেরা সংলাপ: প্রকাশ কাপাডিয়া এবং উত্কর্ষিণী (গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি), সেরা চিত্রনাট্য: অক্ষত ঘিলদিয়াল, সুমন অধিকারী ও হর্ষবর্ধন কুলকার্নি (বাধাই দো), সেরা গল্প: অক্ষত ঘিলদিয়াল, সুমন অধিকারী (বাধাই দো) সেরা অ্যাকশন: পারভেজ শেখ (বিক্রম ভেদা), সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর: সঞ্চিত বলহারা এবং অঙ্কিত বলহারা (গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি), সেরা কোরিওগ্রাফি: ক্রুতি মহেশ (গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি) সেরা সিনেমাটোগ্রাফি: সুদীপ চ্যাটার্জি (গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি), সেরা কস্টিউম ডিজাইন: শীতল শর্মা (গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি), সেরা সম্পাদনা: নিনাদ খানোলকার (অ্যান অ্যাকশন হিরো), সেরা প্রডাকশন ডিজাইন: সুব্রত চক্রবর্তী ও অমিত রায় (গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি), সেরা সাউন্ড ডিজাইন: বিশ্বদীপ দীপক চ্যাটার্জী (ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান শিবা), সেরা ভিএফএক্স: ডিএনইজি, রেডফাইন (ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান শিবা), আজীবন সম্মাননা: প্রেম চোপড়া, আরডি বর্মন পুরস্কার, মিউজিক ট্যালেন্ট: জাহ্নবী শ্রীমংকর (ঢোলিড়া, গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাড়ি)
২৮ এপ্রিল ভারতীয় সময় রাত ৯টায় কালারস টিভি ও জিও সিনেমায় প্রচার হয় ৬৮তম ফিল্মফেয়ারের পুরো ইভেন্টটি।