সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

কয়েকশ ড্রোন আকাশে উড়িয়ে শিল্পকর্ম সৃষ্টি

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪০

অন্ধকার আকাশে শত শত ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করে আমস্টারডামের 'স্টুডিও ড্রিফট'। তাদের প্রধান দুই ব্যক্তি লোনেকে গর্ডাইন ও রাল্ফ নাওটার। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এমন শিল্পকর্ম তৈরি করেন তারা। স্টুডিও ড্রিফটের এমন কাজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। 

তাদের কার্যালয় আমস্টারডামে। গর্ডাইন আর নাওটার সঙ্গে আরও ১৫ জন কাজ করেন। স্টুডিও ড্রিফটের তৈরি শিল্পকর্ম প্রমাণ করে, উচ্চ প্রযুক্তি বিষয়টি সুন্দর ও কাব্যিকও হতে পারে।

অন্ধকার আকাশে শত শত ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করে আমস্টারডামের 'স্টুডিও ড্রিফট'।

রাল্ফ নাওটা বলেন, 'আমার মনে হয়, এআই আর্টিস্টদের জায়গা নিচ্ছে। তবে আমি মনে করি না যে এটা খারাপ, কারণ আমার মতে, একজন ভালো আর্টিস্টের উচিত ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ভাবনা সৃষ্টি করা।'

২০২২ সালে জার্মানির হামবুর্গের এলবফিলহার্মোনির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকর্ম তৈরি করেছিল স্টুডিও ড্রিফট। ৩০০ এর বেশি ড্রোন রাতের অন্ধকার ভেদ করে আকাশে উড়েছিল। স্থান ও এলবফিলহার্মোনির কনসার্ট হলের স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে লাইট ইন্সটলেশনটি তৈরি করা হয়েছিল।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এমন শিল্পকর্ম তৈরি করেন তারা।

তবে দুঃখজনকভাবে রিহার্সালের সময় ১৫টি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। বাইরের কিছুর প্রভাবে, নাকি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছিল, তা জানা যায়নি। মূল অনুষ্ঠানের সময়ও পাঁচটি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। এরপর নিরাপত্তার কারণে পরের শো'গুলো বাতিল করা হয়। 

এতে শো-য়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ হয়েছিলেন। স্টুডিও ড্রিফট এখন 'গুগল কোয়ান্টাম এআই' এর কাজ করছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে তা কল্পনায় তুলে ধরার লক্ষ্য তাদের। সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক লাখ গুন দ্রুত কাজ করতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। 

২০২২ সালে জার্মানির হামবুর্গের এলবফিলহার্মোনির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকর্ম তৈরি করেছিল স্টুডিও ড্রিফট।

এমন গতির কারণ, এটি গণনার কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যায়, একটার পর একটা নয়। অনেকটা গাছের মতো, যেখানে বৃদ্ধি ও সালোক সংশ্লেষণ একই সময়ে ঘটে থাকে।

নাওটা বলেন, 'এআই এর কোনো সীমা নেই, যা ভয়ের কারণ৷ এআই কী হয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে আমরা ভাবতে পারি না। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এটি বিবর্তনের একটি রূপ, এটি পরবর্তী জীবনের রূপের মতো, যা আমরা কল্পনা করতে পারি না। একটি বানর যেমন আমাদের দক্ষতা কল্পনা করতে পারে না, আমরা কী হতে পারি বুঝতে পারে না; আমরা এবং এআই এর বিষয়টিও সেরকম।'

গুগল কোয়ান্টাম এআই এর কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ায় সান্তা বারবারায়। উচ্চ নিরাপত্তায় ঘেরা এই কার্যালয়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির কাজ চলছে। এই কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ও গতি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভবিষ্যৎ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখনই এই কম্পিউটার এমন সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেটা করতে সাধারণ কম্পিউটারের লাগবে দেড় লাখ বছর।

ইত্তেফাক/ডিএস