আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। এদিন সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর বেশ কিছু স্কুল ঘুরে দেখা যায়, আজ সকাল ৮টা থেকেই কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এবারের পরীক্ষায় মোট অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৭৯৮ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মোট ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এসএসসির প্রতিটি পরীক্ষাই সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জন। এর মধ্যে ৯৭ হাজার ৩৩৪ জন ছাত্র এবং ৩০ হাজার ৪৩৩ জন ছাত্রী।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এছাড়া মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ২৩ মে পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে শুরু হয়ে ৩০ মে শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে শুরু হয়ে ৩ জুন শেষ হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ২৩ মে পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ মে শুরু হয়ে ৪ জুন শেষ হবে। পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
গতকাল ঢাকার বাইরে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ নেই। কেউ প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালেও তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।