রাজবাড়ীর পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষকরা। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সোমবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাংশা থানা মোড়ে বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে এ মানববন্ধন হয়।
রোববার (৩০ এপ্রিল) সাড়ে ৯টার দিকে পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি হোসেনডাঙ্গা বাজারে ব্যবসা করতেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের স্থানটিতে রক্ত জমাটবাঁধা। চারপাশে ইট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এছাড়া তার বসাকুষ্টিয়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা বেগম বাড়িতে বিলাপ করে চলেছেন। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
শিক্ষক মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা বেগম জানান, আমার স্বামী প্রতিবাদী ছিল। তার শত্রু ছিল বলে আমার জানা নেই। আমাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তবে বাজারের পাশের জমি কেনা নিয়ে বিরোধ চলছিল ব্যবসায়ী অসিত বিশ্বাসের সঙ্গে। এ নিয়ে আমাদের কথা হয়। আমি জমি কিনতে নিষেধ করেছি। দোকানে হালখাতা ছিল। রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করার চেষ্টা চলছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। জড়িত ব্যক্তিদের আটক করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
পাংশা মডেল থানার ওসি মো. মাসুদুর রহমান জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন। ময়নাতদন্তের পর লাশ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সন্দেহভাজনদের নজরদারিতে রয়েছে।
এদিকে পাংশা-কালুখালী উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে পাংশা ও কালুখালী উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাংশা-কালুখালী উপজেলা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি ও আঁখরজানি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুল আলমের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।