সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সংঘাতের পর অস্ত্র-বিরতিতে রাজি ইসরায়েল ও হামাস

আপডেট : ০৩ মে ২০২৩, ১৪:০২

ইসরায়েলের জেলে ফিলিস্তিনির মৃত্যুর পর শুরু হয় সংঘাত। হামাস রকেট ছোঁড়ে। ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করে। ইসরায়েলের জেলে ৮৭ দিন অনশন করে মারা যান খাদের আদনান। তারপরই হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়ে। 

ইসরায়েলের দাবি, ৩০টি রকেট ছোড়া হয়েছিল। হামাস ও ইসলামিক জেহাদ জানায়, এটা ছিল প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। কিন্তু এরপর ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিমান বোমা ফেলে। কামান থেকে গোলা ছোড়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সক্রিয় হন। 

ইসরায়েলের জেলে ৮৭ দিন অনশন করে মারা যান খাদের আদনান।

তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত সাড়ে তিনটে থেকে দুই পক্ষ অস্ত্র-বিরতিতে রাজি হয়েছে। তার আগে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে তারা মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন।

কে এই আদনান?

আদনান ওয়েস্ট ব্যাংকের জেনিন শহরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ছিলেন রুটিওয়ালা ও নয় সন্তানের বাবা। গত আট বছরে তাকে ১২ বার গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রায় প্রতিবারই প্রশাসনিক নির্দেশে তাকে আটক করা হয়। 

তারপরই হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছোড়ে। 

ছয় মাসের ব্যবধানে এভাবে ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার করতে পারে ইসরায়েলি পুলিশ প্রশাসন। আদনান এর আগেও তিনবার অনশন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এবার তিনি লাগাতার অনশন করছিলেন। ৮৭ দিন অনশন করার পর তিনি মারা যান। তারপরই এই সংঘাত তীব্র হয়।

ইইউ এর অনুরোধ

ইইউ এর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল ইসরায়েলকে অনুরোধ করেন, তারা যেন একতরফা কোনো ব্যবস্থা না নেয়। তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাসেলসে দেখা করে আলোচনাও করেছেন।

ইত্তেফাক/ডিএস