শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিদ্যুৎ বিল হালনাগাদ সত্ত্বেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

আপডেট : ০৯ মে ২০২৩, ১০:০৯

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ থাকা সত্ত্বেও গ্রাহকের বসতঘরের বিদুৎ মিটার খুলে নিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ মে) পর্যন্ত ১২ দিন যাবৎ তিনি প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় অন্ধকারে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের ভোরন্ডা গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান শিকদার জানান, গত ২৭ মে ঝড়ে সড়কের গাছ পড়ে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় বালিগাঁও পল্লী বিদ্যুত্ অভিযোগ কেন্দ্রে ফোনে অভিযোগ দেওয়ার পরও সেখানকার ইনচার্জ আবদুল বাতেন আমলে নেননি। অভিযোগ দেওয়ার পরও তাকে ১৫ বার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তার সাড়া মেলেনি। পরদিন তিনি ঘটনাস্থলে এলে ফোন না ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন। এ ছাড়া তিনি থানা পুলিশের কাছে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মিথ্যা অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী খলিলুর রহমান শিকদার জানান, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার খুলে নেওয়া হয়েছে। পরে তিনি মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির  উপ-মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় টঙ্গিবাড়ী জোনাল অফিসে সংযোগ ফিরে পাওয়ার জন্য গেলে সেখানকার কর্মকর্তা শান্ত সাহা তাকে টঙ্গিবাড়ী থানায় যোগাযোগ করতে বলেন।

সেই অনুযায়ী তিনি থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজীব খান জানান, এটা পল্লী বিদ্যুতের বিষয়। এটা তার এক্তিয়ার বহির্ভূত। কোথায় গেলে এর সমাধান মিলবে সেটা তার প্রশ্ন। 

এ বিষয়ে বালিগাঁও পল্লী বিদ্যুত্ অফিসের ইনচার্জ আবদুল বাতেন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, এ ধরনের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী আহত হয়ে চিকিত্সা নিতে আসেননি।

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুত্ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো.হযরত আলী জানান, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তার বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

 

ইত্তেফাক/আরএজে