২০০১ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ একের পর এক মেধাবী ও সৃজনশীল স্থপতির জন্ম দিয়েছে। গত দুই দশকে তারা ছড়িয়ে পড়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। স্থাপত্য ও পরিকল্পনা খাতে অবদান রাখছেন দেশ ও সমাজের উন্নয়নে।
এবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে করতে তৈরি হয়েছে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ব্র্যাকইউ আর্কিটেকচার (AABAr)। আগামী শুক্রবার (১২ মে) গুলশানে শ্যুটিং ক্লাবে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা ঘোষণা করা হবে। দৈনিক ইত্তেফাককে পাঠানো এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য স্থপতি শুভাশীষ সাহা।
তিনি জানান, "গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যচর্চায় যুক্ত হওয়া সকলকে একত্রিত ও সংযুক্ত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১২ মে অনুষ্ঠিতব্য 'ফাউন্ডেশন ডে' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনা, নেটওয়ার্কিং সেশন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত থাকবে।"
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট স্থপতি শিহাব আমিন মুস্তফা এই সংগঠন গঠনের আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেন। ইতোমধ্যেই এতে প্রায় ৩ শ' সদস্য যুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সংগঠনটির অস্থায়ী কমিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স্থপতি নাজমুস সাকিব চৌধুরী। ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রহমাতুল আজিজ রোহিত ও অর্ঘ্য সাহা।
স্থপতি নাজমুস সাকিব চৌধুরী জানান, 'অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনের এই প্রচেষ্টা আমাদের স্থাপত্যচর্চার অঙ্গনকে আরও নান্দনিক ও গতিশীল করে তুলবে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌর্হাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করাই হবে এই অ্যাসোসিয়েশনের মূল উদ্দেশ্য।'
'অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ব্র্যাকইউ আর্কিটেকচার'-এর নির্বাহী কমিটি নির্বাচনে ১৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ২৫ জন প্রার্থী। সম্প্রতি তাদের নাম ও পরিচিতি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্থপতি তাজুল ইসলাম আকন্দ, স্থপতি মো. রাকিবুল হাসান, এবং স্থপতি ফাহিম মোস্তফা। ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী স্থপতি মো. কায়সার হোসেন, স্থপতি তন্ময় চক্রবর্তী এবং স্থপতি শারারা খান।
জেনারেল সেক্রেটারি পদে দাঁড়িয়েছেন স্থপতি শুভাশীষ সাহা। ট্রেজারার পদের প্রার্থী স্থপতি শরিফুল হক তপু। যদিও এই দুটি পদে তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আর জেনারেল লিগ্যাল কাউন্সিল পদের প্রার্থী স্থপতি তাসনোভা ইকবাল ও স্থপতি তাহেরা তাবাসসুম।
সেক্রেটারি (মেম্বারশিপ অ্যান্ড অ্যালামনাই লিয়েসন) পদের প্রার্থী স্থপতি আসিফ ইবনে রহমান এবং স্থপতি ফাইয়াজ হাসনাইন খান। সেক্রেটারি (প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট) পদে দাঁড়িয়েছেন স্থপতি ওয়াসেক শাকিল এবং স্থপতি সাফা বিনতে সাইফুল্লাহ।
সেক্রেটারি (ক্যারিয়ার অ্যাডভাইস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন স্থপতি মো. জাহিদুল হক বনি এবং স্থপতি এএম নাজেম। অন্যদিকে সেক্রেটারি (ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভিটিজ) পদের প্রার্থী স্থপতি আদিবা আহসান আমিন। সেক্রেটারি (কমিউনিকেশন অ্যান্ড আর্কাইভিং) পদের প্রার্থী স্থপতি মোবাশ্বের মিয়াদ।
সেক্রেটারি (ইনোভেশন, রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন) পদে দাঁড়িয়েছেন স্থপতি ধ্রুব অন্তর এবং স্থপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। সেক্রেটারি (সাস্টেইনেবিলিটি, ডাইভারসিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন) পদের প্রার্থী স্থপতি সাকিব ইন্তিসার হোসেন, স্থপতি ইন্তেজা শাহরিয়ার ও স্থপতি এমেরাল্ড উপমা বৈদ্য। সেক্রেটারি (কমিউনিটি সার্ভিস অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাঙ্গেজমেন্ট) পদের প্রার্থী স্থপতি মাহমুদা আলম। সেক্রেটারি (গ্লোবাল আউটরিচ) পদের প্রার্থী স্থপতি তানজিয়া ইসলাম।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন স্থপতি ফারাহ নাজ এবং স্থপতি কাজী আরেফিন। তারা জানান, দেশের বাইরে বা ঢাকার বাইরে থাকা সদস্যদের জন্য অনলাইন ভোটিং চালু করা হয়েছে ৯ মে থেকে, যা চলবে ১২ মে রাত ৯টা পর্যন্ত। তাছাড়া ফাউন্ডেশন ডে'র অনুষ্ঠানমালায়ও সশরীরে ভোটগ্রহণ অন্তর্ভুক্ত আছে। ওইদিন রাতেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।