উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে গিয়েই তাদের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে ফাইনালে যাওয়ার পাল্লাটা ভারী সিটিজেনদের দিকেই। ঘরের মাঠ এতিহাদ স্টেডিয়ামে রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ম্যানসিটি তারকা জ্যাক গ্রিলিশও।
চলতি মৌসুমে এতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলা ১৪ ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই সময় ৪৯ গোলের বিপরীতে মাত্র ৭ গোল হজম করেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপ জয়ের মাধ্যমে ট্রেবল শিরোপা জয়ের আশা করছে ক্লাবটি।
তবে প্রথমবারের মতো ইউরোপ জয় করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের জন্য। গত মৌসুমে এই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দ্বিতীয় লেগে স্প্যানিশ জায়ান্টদের কাছে হেরেছিলো সিটি। যার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে ক্লাবটি। ওই আসরে ১৪তম শিরোপা ঘরে তোলে লস ব্লাঙ্কোসরা।
তবে এবারের ফিরতি লেগ সিটির নিজেদের মাঠে হওয়ায় সেই সুযোগ নাও পেতে পারে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগ ড্র হওয়ার ম্যাচে উভয় দলেরই গোল দুটি হয়েছে বক্সের বাইরে থেকে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দেওয়া গোলটি একই কায়দায় পরিশোধ করে দেন কেভিন ডি ব্রুইনা।
বিটি স্পোর্টসকে গ্রিলিশ বলেন, ‘এতিহাদে এই মুহুর্তে আমরা নিজেদের অপ্রতিরোধ্য মনে করি। আমরা বার্নাব্যুতে এসেছিলাম জয়ের চেষ্টা করার লক্ষ্যে। কিন্তু এক গোলে পিছিয়ে ফেরাটা হয়তো আমাদের চরিত্রেরই একটি অংশ হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত এটি ছিল একটি যথার্থ ফলাফল।’
এর ফলে টানা ২১ ম্যাচে অপরাজিত থাকল সিটি। কিন্তু সেখানে তারা নিজেদের সাবলীল খেলাটা খেলতে পারেনি। ৫১ গোল করা আর্লিং হালান্ড গোল করতে পারেননি। গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা যখন ভালো খেলেছি তখন তারা (রিয়াল) গোল করেছে। আবার তারা যখন ভালো খেলছিল তখন আমরা গোল করেছি। আপনি যখন এই ধরনের ম্যাচ খেলবেন তখন সেটি হয় অনেকটা প্লে অফের মতো। প্রথম ম্যাচ থেকে আপনি অনেক কিছু শিখবেন এবং দ্বিতীয় ম্যাচে সেটি কাজে লাগাবেন। আশা করি আমরাও শিক্ষা নিয়েছি এবং দ্বিতীয় লেগে আরো ভালো আক্রমণ করতে পারব।’