সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

খাদ্য সংকট, লোকালয়ে বেড়েছে বানরের উৎপাত

আপডেট : ১৩ মে ২০২৩, ১৫:১৭

মাদারীপুরে খাদ্য সংকট থাকায় লোকালয়ে বানরের উৎপাত বেড়েছে। এমন কী যখন তখন বাসাবাড়িতে হামলা করছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় এই প্রাণীগুলোর হুমকির মধ্যে পড়েছে। তাই ভারসাম্য রক্ষায় বানরগুলোকে নিরাপদ রাখাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মাদারীপুরের নয়াচর ও চরমুগরিয়া এলাকায় খাবারের সন্ধানে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে বানর। কখন ফল গাছে, কখনো বা ঘরের চালে। সকাল থেকে বিকেল, এভাবেই দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বানরদল। পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় বাসাবাড়িতেও হানা দিচ্ছে তারা। অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানায়, সরকারিভাবে বানরের জন্য খাবার বরাদ্দ থাকলেও তা নিয়মিত দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ তাদের। একটা সময় বানরের অভয়ারণ্য হিসেবে চরমুগরিয়া এলাকা পরিচিত ছিল। একদিকে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে ঘনবসতি দুই কারণেই বানরের সংখ্যা কমে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ প্রাণীকে টিকিয়ে রাখার আহ্বান এলাকাবাসীর।

চরমুগরিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আফজাল বলেন, বানর সারাক্ষণ উৎপাত করে। সরকার থেকে খাবারের যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তা কখনই চোখে পড়ে না। এক বা দুই সপ্তাহ পরে একদিন খাবার দিয়ে গেলে, আর কোনো খবর থাকে না। এজন্য প্রতিনিয়তই বাসা-বাড়ি ও দোকানে খাবারের জন্য বানর হানা দেয়। এছাড়া গাছের ফলও খেয়ে ফেলে বানর। নষ্টও করে।

বাসিন্দা ইয়াকুব মোল্লা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বানরগুলোকে পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন।

মাদারীপুরের বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, বরাদ্দ কম থাকায় বিভিন্ন স্পটে মাসে ১২ দিন খাবার দেওয়া হচ্ছে। মাদারীপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় আট হাজার বানর থাকলেও বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজারে। চলতি অর্থবছরে বানরের জন্য ২৭ লাখ টাকা খাবারে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, বানরের খাবার বিতরণে কোনো অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কী কারণে বানরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

ইত্তেফাক/আরএজে