ঢাকাই চলচ্চিত্রের আরও এক নক্ষত্রের পতন। না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। সোমবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বাকী নেই চিত্রনায়ক শাকিব খান। ফেসবুকে শোক ব্যক্ত করলেন এই সময়ের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে তিনি লিখেছেন, চলে গেলেন আমাদের প্রিয় মিঁয়া ভাই (আকবর পাঠান ফারুক)। যতদিন তিনি সুস্থ সবল ছিলেন, ততদিন আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন। আমার যে কোনো ভালো কাজ এবং ছবির পোস্টার কিংবা ট্রেলার রিলিজ দেখে তিনি নিজ থেকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে গর্বিত হতেন। আমার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন। কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই মহান মানুষটির সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে প্রিয় অভিনেতা হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। ওপারে অনেক শান্তিতে থাকবেন।
১৯৭১ সালে ‘জলছবি’ সিনেমায় আগমন ঘটে ফারুকের। তারপর বিখ্যাত পরিচালক খান আতার ‘আবার তোরা মানুষ হ’ সিনেমায় অভিনয় করে সফলতার সিঁড়িতে পা রাখেন। ১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত সুজন সখী ও লাঠিয়াল দুটি ব্যবসাসফল ও আলোচিত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে তিনি আরও শক্ত জায়গা করে নিতে সক্ষম হন। লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরাপার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এরপরে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত তিনটি ছায়াছবি সূর্যগ্রহণ, মাটির মায়া ও নয়নমনি। চলচ্চিত্র তিনটি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। পরের বছর শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত কালজয়ী উপন্যাস সারেং বৌ অবলম্বনে নির্মিত সারেং বৌ ও আমজাদ হোসেন পরিচালিত গোলাপী এখন ট্রেনে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনে মিয়া ভাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
দীর্ঘ দুই বছর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার (১৫ মে) সকালে মারা যান বরেণ্য অভিনেতা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।