মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ: ঝিনাইদহে ৩ জনের ফাঁসি

আপডেট : ১৫ মে ২০২৩, ১৮:৫৭

ঝিনাইদহে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৩ যুবকের ফাঁসি আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। সোমবার (১৫ মে) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ঝিনাইদহ পৌর এলাকার খাজুরা পুর্ব পাড়ার মৃত মন্তেজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (২৫), খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়ার মন্টু মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (২৫) ও খাজুরা শেখপাড়া গ্রামের জাফর উদ্দিনের ছেলে মন্নু মিয়া (২৪)।

ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইট্যুনালের পিপি এ্যাডভোকেট বজলুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামের সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রী তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে উঠে মা’কে না পেয়ে খুঁজতে বাড়ির পাশে  জামতলা মোড়ে যায়। সে সময় একই এলাকার বাদশা মুখের ভেতর রুমাল গুজে দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে বাদশা রুহুল আমিন ও মনু মিয়াকে ডেকে আনে। ওই স্কুলছাত্রীকে তিনজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তারপর পাশের তামান্না পার্কের একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। রাত ১২টার ছাড়া পেয়ে মেয়েটি ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কে ওঠে। তিনজন পথচারী মেয়েটিকে দেখে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত বাবা বাদী হয়ে পরদিন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি রুহুল আমিন ও মনু মিয়া দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। এ ছাড়াও ডিএনএ পরীক্ষায় আসামিদের ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। তদন্ত শেষে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জমিট দাখিল করে পুলিশ।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলার অভিযুক্ত বাদশা, রুহুল আমিন ও মনু মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেকেকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

ইত্তেফাক/পিও