বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

তাহের হত্যা: প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি

আপডেট : ১৫ মে ২০২৩, ১৯:৪১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। সোমবার (১৫ মে) রাজশাহী কারাগারের জেলার নিজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২ মে অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আসামিদের করা আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর পরের দিন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ২০০৮ সালের ২২ মে আলোচিত এই মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আব্দুস সালাম। খালাস পাওয়া দুই আসামি হলেন-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।

রায় ঘোষণার পর ওই বছরই বিচারিক আদালত থেকে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় হাইকোর্টে। একইসঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে অন্য দুইজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে তারা হলেন-রাবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন- জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সম্বন্ধী আব্দুস সালাম।

এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে পৃথক আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রেখে রায় দেন। ১৫ সেপ্টেম্বর আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ার পর আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন।

ইত্তেফাক/এনএ