ইউরোপের অন্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে জার্মানির বাচ্চারা। বিশেষ করে, পড়ায় দক্ষতার ক্ষেত্রে। ফোর্থ গ্রেডের শেষে (জার্মান বাচ্চাদের গড় বয়স তখন ১০ বছর) জার্মান বাচ্চারা অন্য ইউরোপীয় বাচ্চার তুলনায় পড়ার ক্ষেত্রে সমানে পিছিয়ে পড়েছে। গত ২০ বছর ধরে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।
২০২১ সালের পিআইআরএলএস আন্তর্জাতিক সমীক্ষা বলছে, ২৫ শতাংশ জার্মান বাচ্চা পড়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম স্তরে পৌঁছাতে পারেনি। এর ফলে তারা পরে অ্যাকাডেমিক চ্যালেঞ্জ কী করে পুরো করবে সেটা চিন্তার বিষয়। জার্মানির শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।
জার্মানির বাচ্চাদের পড়ার ক্ষেত্রে স্কোর হলো ৫২৯। ২০০১ সালে ছিল ৫৩৯। ২০১৬ সালে ছিল ৫৩৭। এর তুলনায় সিঙ্গাপুরের গড় হলো ৫৮৭, হংকংয়ের ৫৭৩। ফিনল্যান্ডের বাচ্চাদের স্কোর ৫৪৯, সুইডেনের ৫৪৪। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বেলজিয়ামের। সেখানকার বাচ্চাদের স্কোর ৪৯৪।
সমাজতত্ত্ববিদ ম্যাকএলভ্যানি বলেছেন, কোভিডের কারণে বাচ্চারা যখন বাড়িতে পড়েছে, তার কিছুটা প্রভাব বাচ্চাদের পড়ার উপর পড়েছে। কিন্তু ২০০৬ থেকে এই বিষয়ে রেখচিত্র নিচের দিকে যাচ্ছে।
তার মতে, এখন জার্মানির স্কুলে আগের থেকে অনেক বেশি বাচ্চা আছে, যারা বাড়িতেও জার্মান ভাষায় কথা বলে না। এটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ইউরোকোপের কিছু দেশে অবশ্য অভিবাসীদের সংখ্যা জার্মানির তুলনায় বেশি। সেখানে বহুভাষিক সংস্কৃতি দ্রুত বাড়ছে।
নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম এর উদাহরণ। সেখানেও বাচ্চাদের পড়ার ক্ষমতা কমছে। শিক্ষামন্ত্রীসহ জার্মান রাজনীতিবিদরা এই রিপোর্টে রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, জার্মানিতে শিক্ষানীতি বদল করা দরকার।