সবাই নিজের জীবনে উত্তম জীবনসঙ্গী চায়, কিন্তু তা কখনো নিজ ইচ্ছায় চাইলেই পাওয়া যায় না, দয়াময় মহান আল্লাহ তাআলা যদি চান তাহলেই পাওয়া যায়। তিনি বান্দার প্রত্যাশার চেয়েও উত্তম কিছু দিতে সক্ষম। তার ইচ্ছার বিপরীতে কেউ কিছু পেতে পারে না। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা চক্ষু শীতলকারী জীবনসঙ্গী পেতে দোয়া শিখিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার পর হজরত হাওয়া আলাইহিস সালামকে তার জীবনসঙ্গীরূপে সৃষ্টি করেন। তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান। কোন আমল করলে দ্রুত বিয়ে হয় কিংবা বিয়ের ব্যবস্থা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ সহজ হয়, এ ব্যাপারে উলামায়ে কেরাম অনেক আমলের কথা উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে বিশেষ দুটি কুরআনি আমলের কথা এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে।
পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহর নবি হজরত মুসা আলাইহিস সালামের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। সেখানে হজরত মুসা আলাইহিস সালামের একটি দোয়াও এসেছে। যে দোয়া পড়ার পর আল্লাহ তাআলা তার জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তার আশ্রয়ের পাশাপাশি উত্তম জীবনসঙ্গীনিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই দোয়াটি হলো: রাব্বি ইন্নি লিমা- আনজালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির। অর্থ :হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি তার মুখাপেক্ষী। (সুরা আল-কাসাস: ২৪)
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পরিচয়ে অনেক গুণাগুণের কথা পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হলো—তারা পুণ্যবান স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া করেন। কুরআনে বর্ণিত দোয়াটি শিখিয়ে মহান আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, রাব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা- ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকি-না ইমা-মা। অর্থ :‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন, যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদের) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সুরা ফোরকান :৭৪)।
লেখক: ইসলামি গবেষক