ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত ইতালি। গত ৬ মাসে দেশে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি, গত দেড় দিনে তা হয়েছে। ২০টি নদীর পানি সীমানা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ১৩ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বর্ষণের কারণে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাভেনা শহরের মেয়র মিশেল ডি পাস্কেল বিবিসিকে জানান, এটি গত শতাব্দীর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি। তার শহর ও স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে। সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিকে বিপর্যয়কর বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
৭১ বছর বয়সী রবার্ট লাজারিনি জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। পুরো গ্রাম পানি ও কাঁদায় ডুবে গিয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে ২৮০টিরও বেশি ভূমিধস হয়েছে।
এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশে প্লাবিত অনেক গ্রাম ও শহরের নদীর পাশাপাশি খালের পানিও লোকালয়ে ঢুকেছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইতালির এমন পরিস্থিতির পেছনে অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন।
এর আগে অনেকেই সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, দেশের একটি জাতীয় পরিকল্পনা প্রয়োজন। বেসামরিক সুরক্ষা মন্ত্রী নেলো মুসুমেসি জানিয়েছেন, গ্রীষ্মমন্ডলীয় পরিস্থিতি ইতিমধ্যে ইতালিতে পৌঁছেছে। ৩৬ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।