শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

শান্তর কাছে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স চান পাপন

আপডেট : ২১ মে ২০২৩, ০৬:৩১

জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে ব্যর্থ সময় কাটিয়েছেন ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে বারবার দলে সুযোগ দিয়ে ভক্তদের কাছে নানা সময় কটু কথাও শুনেছেন ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা। তবে দিনকে দিন যেন খারাপ সময়কে পেছনে ফেলে নতুন করে নিজেকে সাজাচ্ছেন শান্ত। সম্প্রতি সময় দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করছেন তিনি। তবে এতেও খুশি নন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি শান্তর কাছে আরো ভালো এবং ধারাবাহিক পারফরম্যান্স আসা করেন। তার মতে, এক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর চেয়ে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হওয়াটা বেশি জরুরি।

চলতি মাসের শুরুতে ফিরতি সফরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ গিয়েছিল ইংল্যান্ডে। সেখানে টাইগারদের মধ্যে সেরা ব্যাটার নির্বাচিত হন শান্ত। ৩ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১ সেঞ্চুরিতে ১৯৬ রান। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও বটে। যদিও শেষ ওয়ানডে ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৩৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন শান্ত।

গতকাল শনিবার ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণসভা (এজিএম) ও কাউন্সিলকে ঘিরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বসেছিল সাবেক এবং নতুন ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি প্রধানও। সেখানে তাকে কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় শান্তর সঙ্গে, তখনিই তিনি শান্তর কাছে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।  পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বিভিন্ন প্রসঙ্গের সঙ্গে শান্তর সঙ্গে তার বলা কথারও বিষয়টি উঠে আসে। পাপন বলেন, ‘শান্ত আয়ারল্যান্ড সিরিজে ভালো খেলেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ফোন করে জানিয়েছি, তুমি খুব ভালো খেলেছো। আমি শেষ ম্যাচটা না দেখে চলে এসেছিলাম। আজকে দেখা হওয়ার পরে ওকে আবার বলেছি, একটা ১০০-র পরে আরেকটা মিনিমাম ৫০ না হলে ঐ ১০০-র কোনো দাম নেই। তার মানে তাকে নিয়মিতই পারফরম্যান্স করতে হবে।’

২০১৭ সালে টেস্ট দিয়ে টাইগারদের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় শান্তর। এরপর ২০১৮ সালে ওয়ানডেতে এবং ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার। তবে শুরুর দিকে তিন ফরম্যাটেই তিনি ছিলেন ব্যর্থ। ২০১৭ সালে এক ম্যাচ খেলে ১৫.০০, ২০১৮ সালে চার ম্যাচ খেলে ৭.৬০, ২০১৯ সালে দুই ম্যাচ খেলে ৮.০০ এবং ২০২০ সালে চার ম্যাচ খেলে ৩৭.৬০ গড়তে ব্যাটিং করেন তিনি। তবে ২০২১ সাল থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে উন্নতি করতে থাকেন তিনি। সেই বছরে টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি পান। তবে ২০২২ সালে আবার যেন ছন্দ হারান কিন্তু শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নিয়মিতই দলের হয়ে ব্যাট হাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন খারাপ সময়কে ভুলিয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে নতুন করে রাঙাতে।

 

ইত্তেফাক/ইআ