রাজশাহী মহানগর বিএনপি-র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ)। সোমবার (২২ মে) জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (প্রো-ভিসি) ড. মোশাররফ বাবু বলেন, বাংলাদেশ যখন নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে ঠিক তখনই একটি চিহ্নিত মহল ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। ২০০৪ সালে ২১ অগাস্ট তারা ৭৫ এর মত একটি হত্যাকাণ্ড ঘটাতে চেয়েছে কিন্তু পারেনি৷ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার মাঝে তাদের সেই ইচ্ছার প্রতিফলন হচ্ছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের প্রতিরোধ করতে হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ড.জামিউল ইসলাম ফুয়াদ বলেন, আমরা স্বাচিপের প্রত্যেক সদস্য শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে কাজ করবো। বিএনপি এর আগেও অনেকবার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি৷ যে সংগঠনের জন্মই হয়েছে হত্যার রাজনীতি দিয়ে সেই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অবিলম্বে রাজনীতি থেকে নিষেধ করে দেওয়া প্রয়োজন। তবেই বাংলার মানুষ অপরাজনীতি থেকে মুক্তি পাবে।
সিলেট মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ড. হাবিবুর রহমান বলেন, বিএনপি জামাতের দোসররা নেত্রীকে হত্যার কথা বলছে। আমরা নেত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে আমৃত্যু পর্যন্ত নেত্রীর সাথে আছি৷ যতদিন শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ ততদিন পথ হারাবে না এই দেশ। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন দেখে একদল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তা সহ্য করতে পারেনাই। তাই তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আমরা বেঁচে থাকতে প্রধানমন্ত্রীর গায়ে একটি টোকাও লাগতে দিব না।
মুগদা মেডিকেল কলেজের ড. পলাশ দেবনাথ বলেন, বিএনপির রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা কখনো জনগণের জন্য রাজনীতি করেনা। তারা প্রতিপক্ষকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করে।
সমাবেশে স্বাচিপের সভাপতি ড. জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জামাত বিএনপি সরকার ২১ বার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা পারেননি। তাদের নেতারা যেমন ভাষা ব্যবহার করেন তা রাজনীতির ভাষা হতে পারেনা। বিএনপির রাজনৈতিক ভাষা,চিন্তা ও কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আনতে হবে তবেই তারা জনগণের দলে পরিণত হবেন। তারা এখন একটি জন-বিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া সমাবেশে অন্যান্য মেডিকেল কলেজের শতাধিক ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন।