শত্রু খুঁজতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে আর দুনিয়া দাপিয়ে বেড়ানোর দরকার নেই। ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ হয়ে তার ঘরেই যে তার দুই শত্রুর বসবাস। রোনালদোর সেই দুই ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ হলেন তার ছোট ছেলে মাতেও এবং বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ।
বার্সেলোনা এফসি, রোনালদোর চিরকালীন এক শত্রু পক্ষের নাম। রোনালদোর ছোট ছেলে মাতেও কি না সেই বার্সেলোনার জার্সি পরে নেচে-গেয়ে বার্সেলোনার লিগ শিরোপা উদযাপন করলেন। আর বান্ধবী জর্জিয়া? পাঁজ বছর বয়সী মাতেওয়ের সেই বার্সেলোনার জার্সি গায়ে শিরোপা উদযাপনের ছবি এবং ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আপ করে সারা দুনিয়াকে জানিয়ে দিয়েছেন জর্জিনা! ছবি-ভিডিও পোস্ট করার পর মুহূর্তেই ফুটবল দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে সারা দুনিয়াই এখন জেনে গেছে, রোনালদোর ছেলেই তার শত্রু ক্লাবের সমর্থক। রোনালদোও জেনে গেছেন, নিজের ছেলেই তার ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’। তবে রোনালদোর বড় শত্রু কে—পাঁচ বছরের অবুঝ মাতেও নাকি প্রাপ্তবয়স্কা পরমা সুন্দরী বান্ধবী জর্জিনা, সেই বিচার রোনালদোকেই করতে হবে!
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে রোনালদো দীর্ঘ ৯টি বছর বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদে খেলেছেন। সেই ৯ বছরে কত বার যে বার্সেলোনার বিপক্ষে মর্যাদার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছেন! তার কোনো কোনটিতে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি কাণ্ডও ঘটেছে। কাজেই রোনালদোর জন্য বার্সেলোনা এক পরম শত্রুর নামই। তাছাড়া এই বার্সেলোনাতেই দীর্ঘকাল খেলেছেন রোনালদোর চিরকালীন মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি।
সব মিলে রোনালদোর পরিবারের কেউ সেই বার্সেলোনার সমর্থক হবে, এমনটা কল্পনা করাও কষ্ট। কিন্তু ছোট্ট মাতেও প্রমাণ করে দিয়েছেন-প্রতিদ্বন্দ্বিতার দ্বন্দ্বে শত্রুতা-রেষারেষির বিষয়টা বয়স্ক বুদ্ধিমান লোকদের কম্য। ছোটদের কাছে শত্রুতা, রেষারেষির বালাই নেই! ওসবের ধার তারা ধারেননি। যে দলকে ভালো লাগে, সেটাই তাদের প্রিয় দল!