শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় দুই নারীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

আপডেট : ২২ মে ২০২৩, ২১:২২

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের হাতে দুই নারী লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সোমবার (২২ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, পাঁচ মাস আগে দুই নারী ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিতে এসেছিলেন। নিয়ম মেনে ঋণের আবেদন করলেও তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও তারা ঋণ পাননি। পরে ওই দুই নারী ঘুষের ১০ হাজার টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত চাওয়ায় ওই কর্মকর্তা প্রথমে নাজমাকে থাপ্পড় মারেন। এতে জান্নাত বেগম বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা মারতে মারতে অফিসের বাইরে নিয়ে এসে নিচে ফেলে দেন। পরে ভুক্তভোগী দুই নারী ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী নাজমা বেগম বলেন, ছেলেকে বিদেশে পাঠাব বলে কিছু টাকা দরকার ছিল। এজন্য ঋণের আবেদন করেছিলাম। ঋণ দিতে সমাজসেবা কর্মকর্তা আমার কাছে পাঁচ হাজার ঘুষ নেন। পরে ঋণ না দেওয়ায় ওই টাকা ফেরত চাই। তবে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো আমাকে চড় মারেন। 

ভুক্তভোগী জান্নাত বেগম বলেন, স্বামীর মাছ ধরার জাল কিনব বলে ঋণ চেয়েছিলাম। ঋণ দেবেন বলে সমাজসেবা অফিসার পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখন ঋণ দিচ্ছেন না। আমরা যে টাকা দিয়েছি তা ফেরত চাইলে আমাদের ওপর চড়াও হন। প্রথমে নাজমাকে থাপ্পড় মারতে থাকেন। পরে আমি বাধা দিলে আমাকেও ধাক্কা দেন। দৌড়ে বাইরে বের হলে ওই অফিসার আমার বোরকা টেনে ধরেন।

অভিযুক্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, ঘটনাটি আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এবি/পিও