সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কি আদৌ শেষ হবে! নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর গত এক যুগেও তদন্ত শেষ করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। ধার্যকৃত দিনে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে সময় দিচ্ছে আদালত। এভাবে ৯৮ বার সময় দেওয়ার পরেও শেষ হয়নি চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্ত কাজ।
গতকাল রবিবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করে আবারও সময় চান। ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রশিদুল আলম সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করে দেন। এ নিয়ে ৯৮ বার সময় পেলেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০২০ সালের মার্চ মাসে তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে অগ্রগতির প্রতিবেদন দিয়ে বলেছিলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই জন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ঐ দুই ব্যক্তির ডিএনএর প্রমাণ মিলেছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ল্যাব যথাক্রমে ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস এবং প্যারাবন স্ন্যাপশট ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। প্রতিষ্ঠান দুটি ডিএনএর মাধ্যমে অপরাধীর ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঐ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরে-বাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরে-বাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। পরে তদন্ত পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপর। দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাবকে। সেই থেকে ১২ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত কর্মকর্তা।