রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ভর্তির ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও পরিচয়হীন রাবি শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, ১৯:২৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ভর্তির সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পরিচয়পত্র হাতে পাননি। এদিকে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমতাবস্থায় আতঙ্কে আছেন পরিচয়পত্রবিহীন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত মাসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয়পত্র হাতে পাননি তারা; তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন কঠোর নির্দেশনা তাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য সেবা, গ্রন্থাগার থেকে বই সংগ্রহ ও নিজের পরিচয় প্রদানের ক্ষেত্রে নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। অনেক সময় তারা বিভিন্ন দপ্তর ও জরুরি কাজে হয়রানিরও শিকার হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তারা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী সেটি প্রমাণের জন্য স্মার্ট আইডি কার্ড খুব জরুরি। কিন্তু ভর্তি হওয়ার সাত মাস চলে যাচ্ছে আবার অনেকে প্রথম সেমিস্টার শেষ করেছে তবুও তারা আইডি কার্ড পাচ্ছেন না। এটি না থাকায় তারা নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তার প্রমাণ হলো আইডি কার্ড। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে যদি কোনো সমস্যায় পড়ি সেখানে আমি আমার ছাত্রত্ব প্রমাণ করতে পারি না। এতদিনেও আইডি কার্ড না পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবহেলার বহিঃপ্রকাশ।’

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আইডি কার্ড না থাকায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে কোনো বই নিতে পারি না। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু আইডি কার্ড না থাকায় আমরা এইসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’

পরিচয়পত্র তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত সেন্টার ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবোরেশানের প্রধান অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রটি চায়নার একটি কোম্পানি তৈরি করে থাকে। কিন্তু টেন্ডার সংক্রান্ত কিছু জটিলতায় কোম্পানিটি তা  তৈরি করতে সময় বেশি নিচ্ছে। আমরা আশা করছি ঈদের ছুটির পরপরই শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র প্রদান করতে পারব।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘স্মার্ট কার্ড তৈরির প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য টেন্ডার দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে আমরা প্রয়োজনীয় জিনিস এখনো পাইনি। আমরা দ্রুত সেগুলো ব্যবস্থা করে কার্ড তৈরির চেষ্টা করবো। সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ সালে একটি পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রথম স্মার্ট আইডি কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়। তখন থেকেই প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তির সময় এককালীন ৪০০ টাকা গ্রহণ করা হতো।

ইত্তেফাক/এআই