সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

দক্ষিণখানে নকশা বহির্ভূত ইমিগ্রেশন পুলিশের বাড়ি ভাঙলো রাজউক

আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, ২১:০১

রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় নকশা বহির্ভূত অনুমোদনহীন ৪টি ভবন ভেঙে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। মঙ্গলবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।

এ অভিযানে রাজধানীর দক্ষিণখানে ১২ তলা গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকায় নকশা বহির্ভূত ৩টি নির্মাণাধীন ভবনের বর্ধিত অংশ এবং অনুমোদনহীন ১টি ভবন ভাঙা হয়েছে। রাজউক এর আওতাধীন জোন-৪/৩ দক্ষিণ খান এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৪টি নির্মাণাধীন ইমারতের অবৈধ অংশ অপসারণ এবং রাস্তা প্রশস্ত করনের নিমিত্তে বাউন্ডারি ওয়াল অপসারণসহ ছয় লক্ষ টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।  

এসময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশে কর্মকর্তা ও নির্মাণাধীন ৬ তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট মালিক মো. আজিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ভবন ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে ইত্তেফাককে বলেন, তিনি রাজউক থেকে কোনো নোটিশ পাননি বলে অস্বীকার করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে রাজউক ফিল্ড অফিসার নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত করলে, তিনি ভুল স্বীকার করেন।  এ সময় তিনি যুক্তি দেন তার রুমে গুলো ছোট হয়ে গেছে তাই তিনি নকশা বহির্ভূত বাড়ির বর্ধিত অংশ নির্মাণ করেছেন। রাজউকের এই অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই বাড়ির মালিক সমিতিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়াও ওই এলাকায় ৪ তলা এবং ১০তলা বেইজমেন্ট নির্মাণাধীন এমন ২টি বাড়ির বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আরেকটি ৪ তলা ভবন সম্পূর্ণ রাজউক অনুমোদন বিহীন। এই ভবনটির পুরোপুরি ভেঙে ফেলে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

অভিযান শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোন ৪/৩ এর আওতাধীন দক্ষিণখান এলাকায় রাজউক নকশা বহির্ভূত ও অবৈধ দখল এমন সব ভবনের বিরুদ্ধে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। আজকে যে ভবনগুলো বর্ধিত অংশ ভাঙা হয়েছে এই ভবনের মালিকগণকে সরকারি আইন অনুযায়ী নোটিশ প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজকে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এই এলাকায় ২০ ফিট রাস্তা থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, কিন্তু রাস্তা দখল করে বাড়ির বর্ধিত করা হয়েছে। ৪ ফিট থেকে ৮ ফিট পর্যন্ত সরকারি রাস্তা দখল করেছে। যা আজকে দখল মুক্ত করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হল। একইসঙ্গে অন্যরা যেন পরবর্তীতে অনুমোদনকৃত নকশা ব্যত্যয় করে ভবন নির্মাণ না করে সেই বার্তা দিতে সকলকে এই বিষয়ে সতর্ক করছি। 

তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি এই ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি চলমান প্রক্রিয়া যা পর্যায়ক্রমে চলমান থাকবে।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ারের নেতৃত্বে ও জোন ৪/৩ অথরাইজড অফিসার শেখ মাহাব্বীর রনির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. মতিউর রহমান, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, সকল ইমারত পরিদর্শক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ইত্তেফাক/এমএএম