সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

নিজের বেতন কমিয়েও মেসিকে অ্যাস্টন ভিলায় চান মার্টিনেজ

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, ০৫:৩১

লিওনেল মেসির ক্লাব ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোয়াশা। চুক্তি নবায়ন করে পিএসজিতেই থেকে যাবেন, নাকি পাড়ি জমাবেন নতুন কোনো ঠিকানায়, কোনো কিছুই এখনো নিশ্চিত নয়। তবে নতুন ঠিকানা হিসেবে সম্ভাব্য অনেক নামই শোনা যাচ্ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো অ্যাস্টন ভিলার নামও!

না, অ্যাস্টন ভিলার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মেসিকে কেনার আগ্রহ দেখানো হয়নি। তাহলে? ইংলিশ ক্লাবটির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ তার ক্লাবে মেসিকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন। প্রয়োজনে ক্লাবে নিজের বেতন কমিয়ে হলেও মার্টিনেজ বন্ধু মেসিকে অ্যাস্টন ভিলায় পেতে চান। ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন আকাঙ্ক্ষার কথাই জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক। বন্ধুর জন্য বন্ধু কত কিছু করে। সেখানে সামান্য একটু বেতন কমানো এমন কি! কিন্তু প্রশ্ন হলো, মার্টিনেজের এই চাওয়া কি পূরণ হবে? রাজনীতিতে যেমন শেষ কথা বলে কিছু নেই, তেমনি পেশাদার ফুটবলের দলবদলের বাজারেও কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। তারপরও মেসির মতো একজনকে কেনার সামর্থ্য অ্যাস্টন ভিলার আছে বলে মনে হয় না! মেসিকে উচ্চ অঙ্কের বেতন দেওয়ার সামর্থ্যও হয়তো তাদের নেই। মার্টিনেজ নিজেও এসবই জানেন। তারপরও মার্টিনেজ নিজের এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মূলত মেসির সঙ্গে পিএসজির সমর্থকদের অসম্মানজনক আচরণের প্রতিবাদ স্বরূপ!

মেসির মতো একজন বিশ্বসেরা ফুটবলারকে দুয়ো দিচ্ছে পিএসজির সমর্থকরা—এই ব্যাপারটা কিছুতেই মানতে পারছেন না মার্টিনেজ। তাই তিনি চান মেসি যে করেই হোক পিএসজির ছাড়ুক। আর পিএসজি ছেড়ে কোথায় উঠবে, সেই দরজা খুলে দিতেই মার্টিনেজ নিজের ক্লাবে পেতে চান জাতীয় দলের সতীর্থ ও বন্ধু মেসিকে। পিএসজির সমর্থকদের হুমকি দিয়ে মার্টিনেজ বলেছেন, ‘যদি তারা দুয়ো দেয়, তাহলে আমি মেসিকে আমার অ্যাস্টন ভিলায় নিয়ে আসব। প্রয়োজনে আমি আমার নিজের বেতন কমাব। তাকে পেতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা করতে প্রস্তুত।’ মেসি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ উঠে আসে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ মুহূর্তের সেই অবিশ্বাস্য সেভের বিষয়টিও। ফ্রান্সের রান্ডাল কোলো মুয়ানির শট বাঁ-পা বাড়িয়ে দিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে সেভ করেছিলেন মার্টিনেজ। যে সেভটি আর্জেন্টিনাকে উপহার দিয়েছে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ। সেই সেভটিকে মার্টিনেজে নিজের জীবনের অংশ বানিয়ে নিয়েছেন। ঠিক যে জায়গা দিয়ে সেভটি করেছিলেন, ঠিক সেখানেই বিশ্বকাপের ট্যাটু আঁকিয়ে নিয়েছেন! মার্টিনেজ মুখেও বললেন, ঐ সেভটি তার জীবনেরই অংশ হয়ে গেছে, ‘আসলে এমন সেভ আর কখনো হবে না। এটা আমার জীবনের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে।’

ইত্তেফাক/ইআ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন