পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে। নতুন মার্কিননীতি বরং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নীতিটি ভালো, এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি বাংলাদেশ সরকারের ওপর কোনো বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেনি, যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক চমৎকার রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করছেন যে, নতুন মার্কিন ভিসানীতিবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন নিয়ে কোনো সহিংসতা না করতে সতর্ক করবে। কারণ এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুধু ক্ষমতাসীন দলের জন্য নয়, বরং বিরোধীদের জন্যও"।
তিনি বলেন, সরকার অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চায় না।
এদিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ হিসেবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ধারাবাহিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের রয়েছে। জনগণের ভোটাধিকারের অধিকারকে আওয়ামী লীগ সরকার একটি রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা হিসাবে বিবেচনা করে যে দলের সেই অধিকার রক্ষার জন্য নিরলস সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার রয়েছে। সরকার সব শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সমাবেশ ও সংঘটনের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়।