মাত্র ২ হাজার টাকার জন্য চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে গলা কেটে ফেলে দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম (২৭) নামের এক যুবককে হত্যার চেষ্টা করেছেন তারই দুই বন্ধু। এই ঘটনায় জড়িত সাগর (৩২) ও শাহেদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ মে) রাতে মিরপুর মডেল থানার লাভ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৭ মে) এ তথ্য জানান মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি জানান, জাহাঙ্গীর একজন ড্রাইভার এবং মোটর মেকানিক। তার বন্ধু সাগর ও শাহেদও মোটর মেকানিক। জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা পেতেন সাগর। এ টাকা নিয়েই দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করেই জাহাঙ্গীরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাগর, শাহেদ।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে তারা তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে চড়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। শাহেদ মোটরসাইকেল চালান, সাগর পেছনে বসেন আর দুইজনের মাঝখানে বসানো হয় জাহাঙ্গীরকে। মাঝে তারা মদ খান। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাদের মোটরসাইকেল লাভ রোড এলাকায় পৌঁছাতেই চলন্ত মোটরসাইকেলেই জাহাঙ্গীরের গলা কেটে দেন সাগর। এরপর চলন্ত গাড়ি থেকে তাকে ফেলে দেন। গলাকাটা অবস্থায় জাহাঙ্গীর হেঁটে হেঁটে কিছু দূর যান এবং কয়েকজনের কাছে সহযোগিতা চান। কিন্তু তার অবস্থা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে জাহাঙ্গীর আশঙ্কামুক্ত হলেও তার শ্বাসনালি কেটে গেছে।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের বাবা আব্দুল হালিম একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার দুই আসামি সাগর ও শাহেদকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত ছুরি, মোটরসাইকেল এবং আসামির রক্তমাখা জামা।