শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

রাবিতে প্রক্সি কাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা আটক

আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, ১৬:৫৬

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সাকিবুল ইসলাম শান্ত। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এবং ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৩০ মে) নগরীর কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় রাজশাহী পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, প্রক্সি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৬ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেকেই অজ্ঞাত রয়েছে। ১৬ জনের মধ্যে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় পুলিশ কমিশনার প্রক্সি কাণ্ডে জড়িতদেরকে চার স্তরের এক তথ্য চিত্রে প্রদর্শন করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রক্সি কাণ্ডে ৭ জন আটক করা হয়েছে। মিডওয়ে কালেক্টর ৩ জন। দ্বিতীয় সারিতে ২জন ও মুল হোতা ১জন রয়েছে এ চক্রে। তাদের মধ্যে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হাসিবুল ইসলাম শান্ত প্রক্সিদাতাদের সঙ্গে ৫০-৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার চুক্তি করেন। মঙ্গলবার আটক প্রক্সিদাতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এ তথ্য জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অন্যের হয়ে প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা শান্তসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নগরীর মতিহার ও চন্দ্রিমা থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে মামলাগুলো দায়ের করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম। তাদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি যে শান্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। অভিযোগের প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইত্তেফাক/এআই