চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর এলাকায় পদ্মাতে নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলায় ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শতাধিক শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১জুন) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে নৌ-পুলিশ পাঁচটি টিম পৃথক এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক এবং বাল্কহেডগুলো জব্দ করে।
এমভি ওয়াটার হেন-৫ এর সুকানি ফরিদ হোসেন জানান, তারা মাওয়া থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের কাজ হচ্ছে বালু বহন করা। প্রতি রাতে বালুবাহী কমপক্ষে ২০০ বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। তার বাল্কহেডের কাগজপত্র আছে। কিন্তু বালু বহনের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।
বাল্কডেহ থেকে আটক হওয়া একাধিক শ্রমিক বলেন, আমরা কাজ করি শ্রমিক হিসেবে। বালু বহনের বৈধতার বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে চুক্তি হয়।
এবিষয়ে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নৌ পথ নিরাপদ রাখার জন্যই আমরা কাজ করি। আমাদের টহল বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারলাম বেশ কিছুদিন ধরে কিছু দুর্বৃত্ত পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে আসছিলাম। চলতি বছরের পাঁচ মাসে ১৫৫টি বাল্কহেড জব্দ করে মামলা দিয়েছি। এরই ধারবাহিকতায় আজকের এই বড় ধরনের অভিযান।
তিনি বলেন, আমাদের অভিযান ছিল ত্রিমাত্রিক। অর্থাৎ রাতের আধারে বালু উত্তোলন নিষেধ। তারপরেও চুরি করে যারা কাটে তারা যেন পরিবহন করে নিয়ে যেতে না পারে সে জন্য আমাদের চেকপোস্ট ছিল পদ্মা এবং মেঘন নদীর মোহনায়। নিবন্ধন ছাড়া বাল্কহেড জব্দ করা। পদ্মা নদীর মাওয়া, লৌহজং, কাঁঠালবাড়ী এলাকায় বালু উত্তোলনকারীদের কোনো বৈধতা কিংবা কাগজপত্র নেই। জব্দকৃত বাল্কহেড ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান, মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।