চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বুধবার রাত প্রায় দেড়-ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার দিনে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপ। গ্রুপদুটি হলো সিএফসি ও সিক্সটি নাইন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর একটায় আগের ঘটনার জেরে মুখোমুখি অবস্থান নেয় সিএফসি ও সিক্সটি নাইন। থেমে থেমে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এসময় সিএফসি শাহ আমানত হল ও সিক্সটি নাইন শাহ জালাল হলে অবস্থান নেয়। ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। চলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া।
তবে সংঘর্ষ চলাকালে অনেকটা অসহায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদারসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও ব্যর্থ হন সংঘর্ষ থামাতে৷ হ্যান্ডমাইক দিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও উলটো তাদেরকে উদ্দেশ্য করে পাথর ছোড়েন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মিজানুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে রাত এবং দিন মিলিয়ে অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসাইনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে খাবার হোটেলে বসাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়৷ এর জেরেই সংঘর্ষে জড়ায় গ্রুপ দুটি। পরে র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ইকবাল হোসেন টিপু দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, যখন শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় তখন ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসনের। ওনারা তা করতে না পারায় এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা সাদাফ খান বলেন, আগের ঘটনা মীমাংসা হয়ে গেলেও সকালে নাস্তা করে বের হলে রমজানকে তারা এলোপাতাড়ি কোপ দেয়৷ এখন আমরা দলীয় উর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, পরিস্থিতি পুলিশ ও র্যাবের সহায়তা নিয়ন্ত্রণে আসে। যারা এ ঘটনায় জড়িত আছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।