মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সন্তান হারানোর কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন রোনালদোর বান্ধবী

আপডেট : ০২ জুন ২০২৩, ১৬:৩৫

আবারও যমজ সন্তানের বাবা হবেন। দিন গুণে যাচ্ছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কিন্তু আনন্দের উপলক্ষ বিষাদে ছেয়ে যায়। যমজ সন্তানের একজন মেয়ে, অন্যজন ছিল ছেলে। কন্যাসন্তান সুস্থভাবে পৃথিবীতে এলেও জন্মের পরপরই মারা যায় ছেলেটি। সন্তান হারানোর এই কষ্ট এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন রোনালদোর বান্ধবী হোর্হিনা রোদ্রিগেস।

আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া স্প্যানিশ মডেল হোর্হিনা। রোনালদোর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ২০১৬ সাল থেকে। এই জুটি ২০১৭ সালে যমজ সন্তানের বাবা-মা হয়েছিলেন সারোগেট পদ্ধতিতে। এবার অবশ্য হোর্হিনা রোদ্রিগেসের গর্ভেই এসেছিল যমজ সন্তান। যদিও দুই সন্তানকে পাওয়া হয়নি রোনালদো ও তার বান্ধবীর। গত বছর জন্মের সময় মারা যায় তাদের ছেলে সন্তান।

এরপর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। মেয়ে বেলা এসমেরালদা বড় হয়ে উঠছে। তাকে বুকে আগলে ধরে ছেলে হারানোর কষ্ট ভোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন রোদ্রিগেস। কিন্তু একজন মায়ের পক্ষে কি সেটি সম্ভব? রোনালদোর বান্ধবীও পারছেন না।

হোর্হিনা রোদ্রিগেসের জীবন নিয়ে বানানো নেটফ্লিক্সের ডকুসিরিজ ‘আই অ্যাম হোর্হিনা’। সেখানেই সন্তান হারানোর যন্ত্রণার কথা জানিয়েছেন তিনি। রোনালদোর বান্ধবী বলেছেন, ‘এই অল্প সময়ের মধ্যে জীবন আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সুখের মুহূর্ত যেমন পেয়েছি, তেমনি বেদনার সময়ও সঙ্গী হয়েছে। সন্তান হারানোর দুঃখ... আমার হৃদয় টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। নিজেই নিজে প্রশ্ন করেছি, এই যন্ত্রণা আমি কীভাবে বয়ে বেড়াবো।’

অন্য সন্তানদের দিকে তাকিয়ে দুঃখে কিছুটা হলেও প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেন হোর্হিনা, ‘কী করবো? তখন আমি আমার সন্তানদের চোখের দিকে তাকাই। তখনই শুধুমাত্র আমি আমার পথ খুঁজে পাই। মনে হয়, এরা তো আছে আমার কাছে।’

হোর্হিনার জন্ম আর্জেন্টিনায়। তবে বেড়ে ওঠা স্পেনে। আর্জেন্টিনায় জন্ম নেওয়া এই স্প্যানিশ মডেলের সঙ্গে রোনালদোর প্রেম সেই ২০১৬ সাল থেকে। শুরুটা হয়েছিল মাদ্রিদের গুচি শো-রুমে। হোর্হিনা ছিলেন ওই শো-রুমের সেলস অ্যাসিস্টেন্ট।

সম্পর্কের শুরুটা অবশ্য গোপন রাখার চেষ্টা করেছিলেন রোনালদো-হোর্হিনা। তবে পাপারাজ্জিদের হাত থেকে রেহাই মিলেনি। ২০১৬ সালের শেষ দিকে তাদের একসঙ্গে থাকার ছবি প্রকাশ পায়। এখনও তারা একসঙ্গে। বিয়ের বাঁধনে যদিও বাঁধা পড়েননি।

ইত্তেফাক/কেআর/