শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

‘বিপর্যয়’ ও ‘তেজ’ চোখ রাঙাচ্ছে

গরম-অস্বস্তি জ্যৈষ্ঠের দহনজ্বালায় পুড়ছে গোটা দেশ

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩, ০৩:০০

সারাদেশে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। চলতি বছর অন্যান্য বছরের চেয়ে গরমের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে তীব্র তাপ যেন শরীর পুড়ে যাচ্ছে! অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ। আবহাওয়ার এমন বৈরিভাব নিকট অতীতে দেখা যায়নি।

এদিকে সাগরে আরও দুইটি সাইক্লোন বিপর্যয় ও তেজ সৃষ্টি হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশ্লেষকরা। বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল অনুযায়ী, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে এ দুটি ঘূর্ণিঝড় চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইউরোপীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ৬ থেকে ৮ জুনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি এবং ৭ থেকে ৯ জুনের মধ্যে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর নাম হবে যথাক্রমে বিপর্যয় ও তেজ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ১১ থেকে ১২ জুনের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের মধ্যবর্তী কোনো স্থানের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকান গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে ১১ থেকে ১২ জুন ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়ে ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে গতকাল পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্য নেই।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাতাসের আর্দ্রতা কমে বাতাস শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে সূর্যের তাপ শরীর থেকে পানি শুষে নিচ্ছে। ফলে আমাদের ত্বক জ্বালাপোড়া করছে। এরই মধ্যে গরম নিয়ে কোনো সুসংবাদ দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিস। গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে,আগামী কয়েকদিন গরম অব্যাহত থাকবে। গত দুই দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপদাহ রেকর্ড হয়েছ। ১১ বছরের মধ্যে জুন মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।

আবাহওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, বেশিরভাগ জায়গাতেই ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

ইত্তেফাক/এমএএম