শুক্রবার ভারতের ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত বাংলাদেশি নাগরিকদের অবস্থা এখন পর্যন্ত বিস্তারিত জানা যায়নি। জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে।
তবে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সিলর আলমাস হোসেন ইত্তেফাক অনলাইনকে জানিয়েছে, আহত একজনের নাম রাসেলুজ্জামান। তার বাড়ি রাজশাহীতে।
ঘটনাটি কভার করা স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, তারা শুনেছেন- দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, তারা তাদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারেননি।
নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতার ডেপুটি মিশন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং আহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত জানার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জানিয়েছেন, উভয় বাংলাদেশি কলকাতার কাছে শালিমার স্টেশন থেকে ‘করমন্ডল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে চেন্নাই যাচ্ছিলেন।
ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫০ জনেরও বেশি। তথ্য বলছে, শুক্রবারের এ দুর্ঘটনা দেশটির ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা এনডিটিভিকে বলেন, ‘কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে।’
ওডিশা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সুধাংশু সারঙ্গি উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন। বালেশ্বর ও আশপাশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে। আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে কাজ করছে ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স।