বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে ‘ইন্টারেক্টিভ লার্নিং’ অন্তর্ভুক্ত করেছি: দীপু মনি

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩, ২২:০৫

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে ইন্টারেক্টিভ শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। যেখানে শিশুরা নাটক পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি, অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা এবং সক্রিয় শিক্ষার মাধ্যমে মানসম্পন্ন শিক্ষা লাভ করবে। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজে নিজে অথবা দলগতভাবে কাজ করতে শিখবে। ফলে অল্প বয়স থেকেই তাদের যোগাযোগ, নেতৃত্ব, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান এবং আরও অনেক কিছুর বিকাশ ঘটাবে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত সকালে সেন্টার ফর রিসার্চ ইনস্টিটিউশন (সিআরআই) এর ইয়াং বাংলা কর্তৃক আয়োজিত ‘লেটস টক: এডুকেশন অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। লেটস টক এর ৪৬তম পর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার ৪৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আগামীকাল রোববার (৪ জুন) রাত ৯টায় এই অনুষ্ঠানটি লাইভস্ট্রিম করা হবে ইয়াং বাংলা ও সিআরআই এর ফেসবুক পেজসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শাহ আজম উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক চর্চার গুরুত্ব, শিক্ষা ও সংস্কৃতির পারস্পরিক সম্পর্ক, বাংলাদেশের সমসাময়িক শিক্ষা ব্যবস্থা, শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে ব্যবধান এবং সংস্কৃতিতে তরুণদের অবদান ইত্যাদি বিষয়ে প্যানেলিস্টদের প্রশ্ন করেন।

সংস্কৃতি ও শিক্ষা একে অপরের সঙ্গে জড়িত বলে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য সাংস্কৃতিক বর্ধনের গুরুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন দীপু মনি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ইন্টারেক্টিভ শিক্ষার মাধ্যমে শ্রেণীকক্ষের মধ্যে সাংস্কৃতিক কার্যকলাপের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য নতুন কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা শিল্প এবং একাডেমির মধ্যে ব্যবধান সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করলে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা থাকা সত্ত্বেও যোগ্য চাকরির অভাব রয়েছে। তিনি পরামর্শ দেন, উদ্যোক্তার মাধ্যমে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেই কেবল তরুণরাই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।

এ সময় সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য অবকাঠামোর অভাব এবং নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অংশগ্রহণকারীরা।

ইত্তেফাক/এএএম