শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

সাফের পাকিস্তান দলে প্রবাসী ফুটবলার

আপডেট : ০৪ জুন ২০২৩, ১২:০৩

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে অনেকেই মনে করেন তিনি বাংলাদেশে খেলবেন। অনেক দিন ধরেই হামজাকে নিয়ে বাংলদেশের ফুটবলে গুঞ্জন। তিনি আসবেন কি না। বাংলাদেশ তাকে আনতে পারবে কি না। হামজা চৌধুরীকে বাংলাদেশে খেলাতে পারলে দেশের ফুটবল তার সার্ভিসটা পেত। এত নামি ফুটবলার আনা সম্ভব না। তবে বিদেশের মাটিতে যেসব প্রবাসী রয়েছেন তাদেরকে কাজে লাগিয়ে দেশের ফুটবল শক্তিশালী করা যায়, সেটা প্রমাণ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এবার সাফে পাকিস্তান দলে আসছেন  বেশ কয়েক জন মানসম্পন্ন বিদেশি ফুটবলার।

হামজার সঙ্গে তুলনা করলে সবার আগে আলোচনায় চলে আসবে ইয়াশাহ সুলিমানের নাম। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ইংলিশ এক সময় ছিলেন ইংল্যান্ড দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। খেলেছেন অনূর্ধ্ব ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ দলে।

অ্যাস্টন ভিলার একাডেমিতে বেড়ে ওঠা ফুটবলার ইয়াশাহ খেলেছেন ক্লাবটির মূল দলেও। এবার তিনি নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তান জাতীয় দলে। অথচ সিলেটের ছেলে হামজা এখনও ডুবে আছেন ইংল্যান্ডের হয়ে খেলবেন বলে। শুধু ইয়াশাহ সুলিমান নন। আসন্ন সাফের প্রাথমিক স্কোয়াডে বেশ কিছু ফুটবলার রেখে চমক দিয়েছে পাকিস্তান। তাদের মধ্যে অন্যতম ওটিস খান। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তানের হয়ে। একটা সময় খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, শেফিল্ড ইউনাইটেডের যুব দলে। বর্তমানে ইংল্যান্ডের চতুর্থ বিভাগের দল গ্রিমসবে টাউনের হয়ে খেলছেন ওটিস খান। 

এছাড়াও রাহিস নাবি পাকিস্তান স্কোয়াডের বড় নাম। সব মিলিয়ে আসন্ন সাফে অন্তত নয়জন ফুটবলারকে দলে নিয়েছে পাকিস্তান, যারা বিভিন্ন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন ক্লাব ফুটবলে। এর মধ্যে চার জনের রয়েছে যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট। বাকি পাঁচজন জন্ম নিয়েছেন ডেনমার্কে।

ইত্তেফাক/এসএস