‘২০ ঘণ্টা জার্নি করে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি মনে করেন, ব্যক্তিগত এই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন না।
রোববার (৪ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোথায় যাবেন না যাবেন, সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে, সে সিদ্ধান্ত তো তারা নেবে। একটা জাতি কোথায় যাবে না যাবে, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নেবেন- এটা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী তো এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে না জানালেও বৈঠক প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা, মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন, জাপানও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে বর্তমানে কী হচ্ছে এবং আগামী দিনে কী হতে যাচ্ছে, তারা জানতে চাইছে। বাংলাদেশে যা হচ্ছে আমরা তাদের কাছে তাই বলেছি।
বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালে বাংলাদেশে জাপানের প্রচুর বিনিয়োগ হয়েছে উল্লেখ করা বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের অবকাঠামো খাতে জাপান অনেক বিনিয়োগ করেছে। একদলীয় শাসনের পরে বিএনপি যে বাংলাদেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেছে, তারপর থেকে জাপানের বিনিয়োগ দেশে সবচেয়ে বেশি হয়েছে।
আমীর খসরু আরও বলেন, জাপান দেখতে চাইবে সরকার পরিবর্তন হলে স্বাভাবিকভাবে তাদের বিনিয়োগ যেন অব্যাহত থাকে। এছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অন্যদের মতো জাপানও অবগত আছে। বাংলাদেশে কী হচ্ছে, আগামীতে কী হতে যাচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করছেন রাষ্ট্রদূত।