'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটকে যারা ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবি করেন তারা স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যে নেতৃত্ব পেয়ে খুশি না। তাই তারা ক্যাম্পাসে ফিরে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীর নেতা হতে চান।'
রবিবার (৪ জুন) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত 'বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ' শীর্ষক এক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, চারুকলার জন্য আলাদা পরিবেশ দরকার। এখন যেখানে আছে সেটা বিশেষ কারণে আছে। সেখানেই থাকতে দেন৷ সেটার সংস্কার এবং আরও উন্নত করতে যা যা করা দরকার তা আমরা করবো।
তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, যারা নেতৃত্ব চান তাদেরকে অনুরোধ করবো তারা অনুষদ বদলে যেখানে অনেক শিক্ষার্থী আছে এমন অনুষদে চলে আসেন। সেখানেই নেতৃত্ব দেন।
এদিন দুপুর ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সেমিনারের আনুষ্ঠানিকতা। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। মুখ্য আলোচক ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী।
এরপর বিকেল আড়াইটায় মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের 'গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি' প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে চবি চারুকলা বিভাগ ও চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজকে একীভূত করার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাদশাহ মিয়া সড়কে বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে ২২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও ক্লাস বর্জন শুরু করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন পরে ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।