দেশের ৯০টি বেসরকারি হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আগামী তিন দিনের মধ্যে এজেন্সিগুলোকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (৪ জুন) ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় এসব এজেন্সিকে শোকজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে হজ শাখা থেকে তাদের চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যেহেতু আপনারা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ পরিচালনাকারী এজেন্সির স্বত্বাধিকারী/ব্যবস্থাপনা পরিচালক/অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং যেহেতু আপনারা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১ এর ০৯ ধারায় বর্ণিত নিবন্ধনের শর্তগুলো পালনে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ; ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গত ৩০ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে তিন দিনের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু অদ্যাবধি আপনাদের হজ এজেন্সি নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ভিসা ইস্যু করেনি, যা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় অসহযোগিতার শামিল।
এ ধরনের অব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং সরকারের হজ ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষিত হয়েছে যা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১-এর পরিপন্থি। তাই আজ ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাদের হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১ এর ১৩ ধারা অনুযায়ী কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ৩ (তিন) দিনের মধ্যে এ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, গত ৩১ মে মন্ত্রণালয়ের আরেক চিঠিতেও এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ভিসা শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বেসরকারি এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজযাত্রীদের ভিসা করার হার ৫১ দশমিক ১ শতাংশ। ভিসার হার কম হওয়ায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রাজকীয় সৌদি দূতাবাস ও হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে দ্রুত সময়ে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা করতে বার বার তাগিদ দিয়েছে।