পপ সংগীতের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আজম খান মাত্র ২১ বছর বয়সে ঢাকা উত্তরের সেকশন কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। লাকী আখন্দ ও হ্যাপি আখন্দ ও আরও কয়েকজনকে নিয়ে তিনি প্রথম গড়ে তোলেন ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’।
রেল লাইনের ওই বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’ অথবা ‘আলাল ও দুলাল’ গানগুলোর কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সংগীতের ‘গুরু’ আজম খানের কথা। এমন অসংখ্য গানের স্রষ্টা আজম খানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ।
আজম খানের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারে। তার পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। বাবা আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মা জোবেদা খাতুন।
সহধর্মিণী মারা যাওয়ার পর থেকে একাকী জীবন বেছে নেন। সুর হয়ে ওঠে জীবনের ধ্যানজ্ঞান। সেই সুরেই বেঁচে আছেন তিনি। ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
আজম খানের ১৭টি গানের অ্যালবামসহ বেশ কিছু মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। জনপ্রিয় এই পপ তারকার অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু গান হলো: আমি যারে চাইরে, অভিমানী তুমি কোথায়, একদিন-তো চলে যাব, জীবনে কিছু পাব নারে, আসি আসি বলে তুমি আর এলে না, ও চাঁদ সুন্দর চাঁদ, চুপ চুপ অনামিকা চুপ, হারিয়ে গেছ খুঁজে পাব না, ঘুম আসে না-সহ আরও অসংখ্য খান।