ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ২০০ ভরি সোনাসহ টাকা চুরির মামলায় তিন আসামিকে পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের চার হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মনির হোসেন, গরীব উল্লাহ ওরফে আসলাম ও মনিরুল।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি শাহ আলম, সবুজ আহম্মেদ ও সেলিমকে খালাস দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় আসামিদের চার বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। রায় ঘোষনার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্ধর্ষ চুরি হয়। এতে প্রায় ২০০ ভরি সোনা, নগদ চার লাখ ৬০ হাজার টাকা ও পাঁচ-ছয় ভরি রুপা চুরি হয়। ঘটনার পরদিনই রাজধানীর চকবাজার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির তৎকালীন সভাপতি বীরেশ চন্দ্র সাহা।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আশরাফ হোসেন ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
