শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

দেশে ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ০২:৩১

দেশে চলতি অর্থবছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ১০ শতাংশ।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্যে এটা দেখা গেছে। বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গ্রাম ও শহরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি প্রায় সমান। গ্রামে এখন মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, শহরে এই হার ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়তি। মে মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, গত মাসে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ ছিল।

গত এক বছর ধরেই মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শুরু হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি বাড়ে। আগস্টে জ্বালানি তেলের রেকর্ড দাম বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি একলাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ উঠে যায়, যা ২০১২ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। এরপর টানা পাঁচ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমলেও কোনো মাসেই তা সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামেনি। গত তিন মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ধারায় রয়েছে।

ইত্তেফাক/ইআ