নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে ২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন রকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পাঁচজনকে সমন দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিয়েছে মামলার বাদী কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান ও সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামুনুল হককে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ৮ আগস্টপরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন রকিব বলেন, সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। এর আগে ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একইসঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।